ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতিত অতিষ্ঠ জনসাধারণ সমাবেশে গিয়ে টাকা না পেয়ে বাড়ি ঘেরাও, ৫ প্রতারক আটক অভিনব সিন্ডিকেট: সয়াবিন তেলের সঙ্গে চাল-ডাল কেনা বাধ্যতামূলক! সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন হাসনাত ডেপুটি রেজিস্ট্রার হয়েও নার্সিং ইনস্টিটিউট ব্যবসা নিলুফার ইয়াসমিনের অভিযোগ তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তলব পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ে নারীদের ভূমি অধিকার ও কৃষি ভূমি সংষ্কার বিষয়ক সমাবেশ কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিক গ্রেফতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত

বিসিএস ডাক্তারের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ দ্বিতীয় স্ত্রীর

এম.ডি.এন.মাইকেল:
  • আপডেট টাইম : ০২:৫৯:১২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৫ জুন ২০২২
  • / ৪৫৩ ৫০০০.০ বার পাঠক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা . মুদ্দাচ্ছির রহমানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি সহ শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী । এই বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক বরাবর ৭/৪/২২ একটি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী স্ত্রী । অভিযোগে দ্বিতীয় স্ত্রী উল্লেখ করেন যে তার স্বামী ডা . মুদ্দাচ্ছির রহমান প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন করে আমাকে দ্বিতীয় বিবাহ করে । আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে । ধর্মীয় বিধি মোতাবেক এবং উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে ডা . মুদ্দাচ্ছির রহমানের সাথে আমার বিয়ে হয় । বিয়ের কিছুদিন পরে আমার স্বামীর মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করি । পরবর্তীতে আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে আগে তার একটি বিয়ে হয়েছিলো এবং সেই পরিবারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে । বিষয়টি জানার পর থেকে আমাকে আরো বেশি মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছে এবং সে আমার কোন ভরণ পোষন না দিয়ে আমার কাছে টাকা চাইতে থাকে। টাকা না দিতে পারায় আমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে । আমি আমার মাকে বিষয়টি জানালে মা কষ্ট করে টাকা যোগার করেন এবং বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ১,২৫,০০০ / – ( এক লক্ষ পঁচিশ হাজার ) টাকা আমার স্বামীকে দেই এবং বলি আমার পক্ষে আর টাকা দেয়া সম্ভব নয় । তখন সে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় । কিছুদিন পরে সে আমার কাছে আরও ৫,০০,০০০ / – ( পাঁচ লক্ষ ) টাকা দাবি করে । আমি দাবিকৃত টাকা দিতে না চাইলে বিভিন্ন ভাবে আমাকে মানুষিক নির্যাতন সহ ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে.অভিযোগ উঠেছে , অভিযোগ দেয়ার পরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন যাবত কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না । বরং এই বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে গেলে উল্টো অভিযোগকারীর সাথে খারাপ ব্যাবহার করা হয় । অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে , ০৭/০৪/২০২২ ইং ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা: মুদ্দাচ্ছির রহমানের বিরুদ্ধে প্রায় দেড় মাস আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী,কিন্তু পরিচালক অভিযোগ আমলে না নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কথা বলে পাশ কাটিয়ে যান. ডা:মুদ্দাচ্ছিরের সাথে কথা বলতে হাসপাতালে গিয়ে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি । তার মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন করে এবং ক্ষুদেবার্তা দিয়েও তার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি ।
অভিযোগের বিষয়টি অনুসন্ধান করতে হাসপাতালে গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডাক্তার জানান, হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন আরো কর্মকর্তা ও সিনিয়র ডাক্তাররা নার্স ও শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট আটকে রেখে ব্ল্যাকমেইল করে যৌন হেনস্থা করে । এবং এর চেয়ে আরো জঘন্য ঘটনাও ঘটে বলে জানান,হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করে আরো হেনস্থার শিকার হন তারা.কারণ তারাই এগুলোর সাথে বিভিন্নভাবে জড়িত রয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান.বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক ব্যবস্থা নিবো নিচ্ছি বলে সাংবাদিকদের সময় ক্ষেপণ করেন.(চলবে)

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বিসিএস ডাক্তারের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ দ্বিতীয় স্ত্রীর

আপডেট টাইম : ০২:৫৯:১২ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৫ জুন ২০২২

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা . মুদ্দাচ্ছির রহমানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি সহ শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী । এই বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক বরাবর ৭/৪/২২ একটি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী স্ত্রী । অভিযোগে দ্বিতীয় স্ত্রী উল্লেখ করেন যে তার স্বামী ডা . মুদ্দাচ্ছির রহমান প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন করে আমাকে দ্বিতীয় বিবাহ করে । আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে । ধর্মীয় বিধি মোতাবেক এবং উভয় পরিবারের সম্মতিক্রমে ডা . মুদ্দাচ্ছির রহমানের সাথে আমার বিয়ে হয় । বিয়ের কিছুদিন পরে আমার স্বামীর মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ্য করি । পরবর্তীতে আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি যে আগে তার একটি বিয়ে হয়েছিলো এবং সেই পরিবারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে । বিষয়টি জানার পর থেকে আমাকে আরো বেশি মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছে এবং সে আমার কোন ভরণ পোষন না দিয়ে আমার কাছে টাকা চাইতে থাকে। টাকা না দিতে পারায় আমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে । আমি আমার মাকে বিষয়টি জানালে মা কষ্ট করে টাকা যোগার করেন এবং বিভিন্ন সময়ে সর্বমোট ১,২৫,০০০ / – ( এক লক্ষ পঁচিশ হাজার ) টাকা আমার স্বামীকে দেই এবং বলি আমার পক্ষে আর টাকা দেয়া সম্ভব নয় । তখন সে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় । কিছুদিন পরে সে আমার কাছে আরও ৫,০০,০০০ / – ( পাঁচ লক্ষ ) টাকা দাবি করে । আমি দাবিকৃত টাকা দিতে না চাইলে বিভিন্ন ভাবে আমাকে মানুষিক নির্যাতন সহ ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে.অভিযোগ উঠেছে , অভিযোগ দেয়ার পরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন যাবত কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না । বরং এই বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে গেলে উল্টো অভিযোগকারীর সাথে খারাপ ব্যাবহার করা হয় । অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে , ০৭/০৪/২০২২ ইং ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা: মুদ্দাচ্ছির রহমানের বিরুদ্ধে প্রায় দেড় মাস আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী,কিন্তু পরিচালক অভিযোগ আমলে না নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কথা বলে পাশ কাটিয়ে যান. ডা:মুদ্দাচ্ছিরের সাথে কথা বলতে হাসপাতালে গিয়ে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি । তার মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন করে এবং ক্ষুদেবার্তা দিয়েও তার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি ।
অভিযোগের বিষয়টি অনুসন্ধান করতে হাসপাতালে গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ডাক্তার জানান, হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন আরো কর্মকর্তা ও সিনিয়র ডাক্তাররা নার্স ও শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেট আটকে রেখে ব্ল্যাকমেইল করে যৌন হেনস্থা করে । এবং এর চেয়ে আরো জঘন্য ঘটনাও ঘটে বলে জানান,হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করে আরো হেনস্থার শিকার হন তারা.কারণ তারাই এগুলোর সাথে বিভিন্নভাবে জড়িত রয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানান.বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক ব্যবস্থা নিবো নিচ্ছি বলে সাংবাদিকদের সময় ক্ষেপণ করেন.(চলবে)