সাকিবে লড়াই বাংলাদেশের
- আপডেট টাইম : ০৬:২৬:১১ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২
- / ২২২ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।
বেচারা মুশফিকুর রহিম! কাসুন রাজিতার বলটি পড়ে একটু নিচু হয়ে এসেছিল, বেশি ওঠেনি। মুশফিক পেছনের পায়ে রক্ষণাত্মক খেলার চেষ্টা করেও ব্যাটে পাননি। বোল্ড!
মিরপুর টেস্টে আজ পঞ্চম ও শেষ দিনে সকালের সেশনে খেলা শুরুর ৭ ওভারের মাথায় মুশফিককে হারিয়ে বেশ বিপদেই পড়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান মিলে সকালের সেশনে আর উইকেট পড়তে দেননি। টেস্ট বাঁচাতে লড়াই করছেন দুজনে।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ৩৪ রান নিয়ে কাল চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। ১০৭ রানে পিছিয়ে শেষ দিনের খেলা শুরু করেছে মুমিনুল হকের দল।
আজ মধ্যাহ্নভোজ বিরতির আগে ৪৬ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৯ রান তুলেছে বাংলাদেশ। ঘাটতি পুষিয়ে ৮ রানের লিড নিয়েছে দল। ৪৮ রানে অপরাজিত আছেন লিটন। এ পথে টেস্ট ক্যারিয়ারে ২ হাজার রানের মাইলফলক টপকে যান লিটন। সাতে নামা সাকিব অন্য প্রান্তে ৫২ রানে অপরাজিত। সকালের সেশনে ৩৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
লঙ্কান দুই পেসার আসিতা ফার্নান্দো ও রাজিতা সকালের সেশনে শুরুটা ভালো করেন। রাজিতার আউট সুইং খেলতে সমস্যা হচ্ছিল লিটন ও মুশফিকের। ভালো জায়গা থেকে দুই পেসারই বল বেশ তুলেছেন।
১৯তম ওভারে রাজিতার বলে লিটনকে কট বিহাইন্ড আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার জোয়েল উইলসন। রিভিউ নিয়ে রক্ষা পান লিটন। আল্ট্রাএজে দেখা যায়, বল তাঁর ব্যাটে লাগেনি। মাঝে এক ওভার পরই রাজিতার বলে আউট হন মুশফিক (৩৯ বলে ২৩)।
সাকিব এসে ষষ্ঠ উইকেটে লিটনকে সঙ্গে নিয়ে ইতিবাচক ব্যাট করছেন। বাজে বল পেলে ছাড়েননি। রাজিতার করা ২৫তম ওভারে তিনটি চার মারেন সাকিব। স্টাম্পের বাইরের বলে দর্শনীয় ড্রাইভে রান আদায় করে নেন।
৫৮ বলে ৫০ রানের জুটি গড়ার পথে সাকিবের অবদান ছিল ১৩ বলে ২৩ এবং ৪৬ বলে ২২ রান করেন লিটন। মধ্যাহ্নভোজ বিরতির আগে ১৫৩ বলে ৯৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েছেন দুই ব্যাটসম্যান।
এই টেস্ট বাঁচাতে হলে লিটন-সাকিবকে দ্বিতীয় সেশনেও যতটা সম্ভব ব্যাট করতে হবে। এই জুটির পর বাংলাদেশের স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে আছেন শুধু মোসাদ্দেক হোসেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে কোনো ঝুঁকি নিতে চাইবেন না লিটন ও সাকিব।
এখন পর্যন্ত দুজন আস্থার সঙ্গেই ব্যাট করছেন, অযথা কোনো ঝুঁকি নেননি। শ্রীলঙ্কার দুই স্পিনার প্রবীণ জয়াবিক্রমে ও রমেশ মেন্ডিস আজ উইকেটে বাঁক ও বাউন্স পেলেও লিটন ও সাকিবকে সেভাবে বিপদে ফেলতে পারেননি।