ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা মোংলায় মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪০০ গ্রাম গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১ ফুলবাড়ীতে মহান মে দিবস পালিত মহান মে দিবস ও আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালন ভারতের যৌন কর্মীদের শ্রমিকের অধিকার চায়, সাথে নিরাপত্তা ও সামাজিক ন্যায়। রায়পুরে মাদ্রাসারছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণনের অভিযোগ

বানিজ্য চলছে বছরের পর বছর ধর্মের দোহায় দিয়ে এতিমের নামে চলছে ব্যবসা

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২
  • ১৬৫ ০.০০০ বার পাঠক

রিপোর্টার:-আরাফাত হোসেন।।

নেই কোনো এতিম শিশু, তবুও চলছে এতিমখানা। ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে এতিমখানার নামে জামালপুর জেলা ইসলামপুর উপজেলায় সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি প্রতারক চক্র। চিহ্নিত ওই প্রতারক চক্রের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
জামালপুর ইসলামপুরে সরকারীর তালিকাভুক্ত ১০ টি এতিমখানা রয়েছে। এসব এতিমখানায় এতিম শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেখানো হয়েছে ২৩০ জন। বাস্তবতা সেখানে পুরোটাই ভিন্ন। গুঠাইল রহিমা জব্বার এতিমখানা গিলাবাড়ী ইসলামপুর, এতিমের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ২৫ জন। পরিচালনা ও সভাপতিত্ব করছেন আলহাজ্ব আজমউদ্দৌলা পালোয়ান। ডিগ্রিরচর জামিয়া মিফিজিয়া এতিমখানা ডিগ্রিরচর এতিমের সংখ্যা ৩২ জন দেখানো হয়েছে সভাপতিত্ব করছেন মোঃ এনামুল হক ও পরিচালকঃ নুর উদ্দিন। কিন্তু এসব এতিমখানার নামে নানান কৌশলে প্রতি ছয় মাস পরপর প্রায় ৭ লাখের বেশি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে শক্তিশালী একটি চক্র। ধর্ম মন্ত্রীর সাহেবের নাম ভাঙ্গিয়ে এভাবেই প্রতিবছর এই চক্রের হাতে চলে যাচ্ছে সরকারের প্রায় ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৮০০ টাকা। জামালপুর জেলার সরকারি তালিকাভুক্ত বিভিন্ন এতিমখানায় অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে রার্ষ্ট্রীয় অর্থ লোপাটের তথ্যচিত্র।

ইসলামপুর উপজেলায় শুরুর দিকে কয়েকজন এতিম শিক্ষার্থী দেখানো হলেও গত সাত-আট বছর ধরে একজনও এতিম শিশু নেই এ এতিমখানায়। এই সময়ে এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো রান্না হয়নি। নেই কোনো বাবুর্চিও। তবুও কাগজপত্রে ২৫ জন এতিম ৩২ জন এতিম ডাবল ডাবল দেখিয়ে অনুকূলে বছরে সরকারের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্রটি। সরকারি অর্থের এমন দুর্নীতি লুকাতে সম্প্রতি এতিমখানাটির জাতীয় পতাকা টা প্রযন্ত ব্যাবহার করেনা
তবে মূল বিষয় হলো। সরকারের নিয়মানুযায়ী মোট এতিম শিশুর অর্ধেক, অর্থাৎ এতিম শিক্ষার্থীর জন্য জনপ্রতি দুই হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। অথচ, গুঠাইল রহিমা জব্বার এতিমখানায় বাস্তবে একজন এতিম শিশুও নেই।

ডিগ্রিরচর জামিয়া মফিজিয়া এতিমখানার পরিচালক নুর উদ্দিন। এতিম শিশু না থাকার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে তিনি জানান, তাদের এ এতিমখানায় এতিম শিশু ও অসহায় শিশু রয়েছে।

সমাজসেবা অফিসার জানাব মোঃ রুহুল আমিন বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম যে হচ্ছে না, সে কথা বলা যাবে না। এসব অনিয়ম বন্ধে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। কিন্তু আমরা চাইলেও কিছু করতে পারিনা। রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে প্রতিনিয়তেই সুপারিশ ও বিভিন্ন চাপ আসতেই থাকে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ

বানিজ্য চলছে বছরের পর বছর ধর্মের দোহায় দিয়ে এতিমের নামে চলছে ব্যবসা

আপডেট টাইম : ০৬:৪৫:৩৩ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২

রিপোর্টার:-আরাফাত হোসেন।।

নেই কোনো এতিম শিশু, তবুও চলছে এতিমখানা। ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে এতিমখানার নামে জামালপুর জেলা ইসলামপুর উপজেলায় সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি প্রতারক চক্র। চিহ্নিত ওই প্রতারক চক্রের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
জামালপুর ইসলামপুরে সরকারীর তালিকাভুক্ত ১০ টি এতিমখানা রয়েছে। এসব এতিমখানায় এতিম শিক্ষার্থীর সংখ্যা দেখানো হয়েছে ২৩০ জন। বাস্তবতা সেখানে পুরোটাই ভিন্ন। গুঠাইল রহিমা জব্বার এতিমখানা গিলাবাড়ী ইসলামপুর, এতিমের সংখ্যা দেখানো হয়েছে ২৫ জন। পরিচালনা ও সভাপতিত্ব করছেন আলহাজ্ব আজমউদ্দৌলা পালোয়ান। ডিগ্রিরচর জামিয়া মিফিজিয়া এতিমখানা ডিগ্রিরচর এতিমের সংখ্যা ৩২ জন দেখানো হয়েছে সভাপতিত্ব করছেন মোঃ এনামুল হক ও পরিচালকঃ নুর উদ্দিন। কিন্তু এসব এতিমখানার নামে নানান কৌশলে প্রতি ছয় মাস পরপর প্রায় ৭ লাখের বেশি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে শক্তিশালী একটি চক্র। ধর্ম মন্ত্রীর সাহেবের নাম ভাঙ্গিয়ে এভাবেই প্রতিবছর এই চক্রের হাতে চলে যাচ্ছে সরকারের প্রায় ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৮০০ টাকা। জামালপুর জেলার সরকারি তালিকাভুক্ত বিভিন্ন এতিমখানায় অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে রার্ষ্ট্রীয় অর্থ লোপাটের তথ্যচিত্র।

ইসলামপুর উপজেলায় শুরুর দিকে কয়েকজন এতিম শিক্ষার্থী দেখানো হলেও গত সাত-আট বছর ধরে একজনও এতিম শিশু নেই এ এতিমখানায়। এই সময়ে এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো রান্না হয়নি। নেই কোনো বাবুর্চিও। তবুও কাগজপত্রে ২৫ জন এতিম ৩২ জন এতিম ডাবল ডাবল দেখিয়ে অনুকূলে বছরে সরকারের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক চক্রটি। সরকারি অর্থের এমন দুর্নীতি লুকাতে সম্প্রতি এতিমখানাটির জাতীয় পতাকা টা প্রযন্ত ব্যাবহার করেনা
তবে মূল বিষয় হলো। সরকারের নিয়মানুযায়ী মোট এতিম শিশুর অর্ধেক, অর্থাৎ এতিম শিক্ষার্থীর জন্য জনপ্রতি দুই হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়। অথচ, গুঠাইল রহিমা জব্বার এতিমখানায় বাস্তবে একজন এতিম শিশুও নেই।

ডিগ্রিরচর জামিয়া মফিজিয়া এতিমখানার পরিচালক নুর উদ্দিন। এতিম শিশু না থাকার বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করে তিনি জানান, তাদের এ এতিমখানায় এতিম শিশু ও অসহায় শিশু রয়েছে।

সমাজসেবা অফিসার জানাব মোঃ রুহুল আমিন বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম যে হচ্ছে না, সে কথা বলা যাবে না। এসব অনিয়ম বন্ধে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। কিন্তু আমরা চাইলেও কিছু করতে পারিনা। রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে প্রতিনিয়তেই সুপারিশ ও বিভিন্ন চাপ আসতেই থাকে।