ঢাকা ১০:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪

ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম মহাসড়কে টিআই প্রশাসন মশিউর রহমান এ-র বেপরোয়া চাঁদাবাজি

এম.ডি.এন.মাইকেল।।
বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে মহাসড়কে দিন রাত অবাধে চলছে সিএনজি অটোরিকশা। শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের বক্সের সামনে দিয়ে এসব যান চলাচল করলেও তারা দেখেও না দেখার ভান করছে। মাসিক নির্দিষ্ট অংকের মাসোহারার বিনিময়ে সিএনজি অটোরিকশা চলতে দিচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ। এমন অভিযোগ ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট কাঁচপুর মহাসড়কে যাতায়াতকারী সাধারণ যাত্রীদের।
তথ্যমতে, ২০১৬ সালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞার
নিষেধজ্ঞাকে রীতিমত বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিদিন দেদারছে চলছে মহাসড়কে এসব অবৈধ যান।
হাইওয়ে পুলিশদের সাথে মাসোহারার বিনিময়ে কিছু ড্রাইভার এসব অবৈধ গাড়ি চালাচ্ছেন বলেও জানা যায়। সিএনজি চালক জালাল বলেন, মহাসড়কটিতে তিনি অবাধেই সিএনজি চালাচ্ছেন। কোথাও কোন পুলিশ কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের কেউ তাকে বাধা দেয় না।সরেজমিন দেখা যায়, কিছুক্ষণ পর পর সিএনজি লেগুনা গুলো সাইনবোর্ড থেকে মহাসড়ক হয়ে শিমরাইল বক্সের সামনে দিয়ে তারাবো বিশ্বরোড, গাউছিয়া মার্কেট, পুরিন্দা বাজার এলাকায় ও কিছু সিএনজি মেঘনা ঘাট পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই যাতায়াত করছে।গাড়িগুলো এমন বিনা বাধাঁয় চলছে দেখলে মনে হয় না গাড়িগুলো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বা বাঁধা দেবার কেউ রয়েছে। ২০ মিনিট সময়ে অন্তত ১৮-২০টি সিএনজি অটোরিকশা লেগুনা নির্বিঘ্নে চলতে দেখা যায়,উল্লেখ্য বেশির ভাগ সিএনজি অটোরিকশার কোনো নম্বর প্লেট নেই। আবার নিয়ম না মেনে উল্টো পথে চলছে এতে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা।চিটাগাংরোডের এক বাসিন্দা বলেন, মহাসড়কে সবার সামনে দিয়েই নিষিদ্ধ সিএনজি অটোরিকশা চলছে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর নির্দেশও মানছে না হাইওয়ে পুলিশ।গোপন আঁতাতের কারণে এসবের বিরুদ্ধে কোনো অভিযান পরিচালনা না করে বরং সিএনজি অটোরিকশা লেগুনা চলাচলে যেনো উৎসাহিত করছে। একেতো মহাসড়কে নিষিদ্ধ তার উপর সিএনজি অটোরিকশা লেগুনা গুলো উল্টো পথেই চলাচল করছে, যার ফলে প্রায়শই দূর্ঘটনা ঘটছে। এসব তদারকির জন্য নিয়মিত অভিযান চালানোর কথা থাকলেও হাইওয়ে পুলিশ কখনই তা করেন না বলে দাবি স্থানীয়দের।মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচ্ছেন কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে সিএনজি চালক আমান, জহির, ছমির আলীসহ বেশ কয়েকজন চালক বলেন, চলাচল নিয়ন্ত্রনে কয়েকটি চক্র রয়েছে তাদেরকে মাসে মাসোয়ারা দিলে আমরা মহাসড়কে চলতে পারি।
পেটের দায়ে চালাতে হয়।
তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরী ভিত্তিতে মহাসড়কে সিএনজি চলাচলে বাধা সৃষ্টি করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের টি আই প্রশাসন মশিউর আলম বলেন, মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা চলছে ,কারণ এগুলো নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক তাদের রোড পারমিট দিয়েছে এখানে আমাদের কিছু করার নেই।
তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসক এসব গাড়ির রোড পারমিট দিলেও তাদের কোন টার্মিনালের ব্যবস্থা করেনি।এসব গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে জেলা প্রশাসক নিতে পারে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারি থ্রি হুইলার লেগুনা অটোরিকশা গুলো থেকে টিআই প্রশাসন মশিউর রহমানের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা তুলছে সাদ্দাম হোসেন নামের জনৈক ব্যক্তি চাঁদা চাঁদা নেওয়ার তথ্য-প্রমাণ সংরক্ষিত আছে,এই সকল অভিযোগের বিষয়ে
কাচঁপুর হাইওয়ে থানার অফিসার্স ইনচার্জ সাজ্জাদ করিম খান বলেন, মহাসড়কের সাইনবোর্ড, শিমরাইলমোড়, কাচঁপুর ও রূপগঞ্জ এগুলো হাইওয়ে সড়ক । এ মহাসড়কে কোন প্রকার থ্রি হুইলার চলতে দেয়া হয় না ।
যদিও চলতে দেখা যায় আমরা গাড়ি আটক করে মামলা দিয়ে থাকি। অবৈধ পরিবহন চলাচলে যদি আমাদের কোন লোক সহযোগীতা করে থাকে তাকে ছাড় দেয়া হবে না।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম মহাসড়কে টিআই প্রশাসন মশিউর রহমান এ-র বেপরোয়া চাঁদাবাজি

আপডেট টাইম : ০৭:১২:৩৪ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ১২ মার্চ ২০২২

এম.ডি.এন.মাইকেল।।
বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে মহাসড়কে দিন রাত অবাধে চলছে সিএনজি অটোরিকশা। শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের বক্সের সামনে দিয়ে এসব যান চলাচল করলেও তারা দেখেও না দেখার ভান করছে। মাসিক নির্দিষ্ট অংকের মাসোহারার বিনিময়ে সিএনজি অটোরিকশা চলতে দিচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ। এমন অভিযোগ ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট কাঁচপুর মহাসড়কে যাতায়াতকারী সাধারণ যাত্রীদের।
তথ্যমতে, ২০১৬ সালে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়ের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞার
নিষেধজ্ঞাকে রীতিমত বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রতিদিন দেদারছে চলছে মহাসড়কে এসব অবৈধ যান।
হাইওয়ে পুলিশদের সাথে মাসোহারার বিনিময়ে কিছু ড্রাইভার এসব অবৈধ গাড়ি চালাচ্ছেন বলেও জানা যায়। সিএনজি চালক জালাল বলেন, মহাসড়কটিতে তিনি অবাধেই সিএনজি চালাচ্ছেন। কোথাও কোন পুলিশ কিংবা স্থানীয় প্রশাসনের কেউ তাকে বাধা দেয় না।সরেজমিন দেখা যায়, কিছুক্ষণ পর পর সিএনজি লেগুনা গুলো সাইনবোর্ড থেকে মহাসড়ক হয়ে শিমরাইল বক্সের সামনে দিয়ে তারাবো বিশ্বরোড, গাউছিয়া মার্কেট, পুরিন্দা বাজার এলাকায় ও কিছু সিএনজি মেঘনা ঘাট পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই যাতায়াত করছে।গাড়িগুলো এমন বিনা বাধাঁয় চলছে দেখলে মনে হয় না গাড়িগুলো চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বা বাঁধা দেবার কেউ রয়েছে। ২০ মিনিট সময়ে অন্তত ১৮-২০টি সিএনজি অটোরিকশা লেগুনা নির্বিঘ্নে চলতে দেখা যায়,উল্লেখ্য বেশির ভাগ সিএনজি অটোরিকশার কোনো নম্বর প্লেট নেই। আবার নিয়ম না মেনে উল্টো পথে চলছে এতে ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা।চিটাগাংরোডের এক বাসিন্দা বলেন, মহাসড়কে সবার সামনে দিয়েই নিষিদ্ধ সিএনজি অটোরিকশা চলছে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রীর নির্দেশও মানছে না হাইওয়ে পুলিশ।গোপন আঁতাতের কারণে এসবের বিরুদ্ধে কোনো অভিযান পরিচালনা না করে বরং সিএনজি অটোরিকশা লেগুনা চলাচলে যেনো উৎসাহিত করছে। একেতো মহাসড়কে নিষিদ্ধ তার উপর সিএনজি অটোরিকশা লেগুনা গুলো উল্টো পথেই চলাচল করছে, যার ফলে প্রায়শই দূর্ঘটনা ঘটছে। এসব তদারকির জন্য নিয়মিত অভিযান চালানোর কথা থাকলেও হাইওয়ে পুলিশ কখনই তা করেন না বলে দাবি স্থানীয়দের।মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচ্ছেন কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে সিএনজি চালক আমান, জহির, ছমির আলীসহ বেশ কয়েকজন চালক বলেন, চলাচল নিয়ন্ত্রনে কয়েকটি চক্র রয়েছে তাদেরকে মাসে মাসোয়ারা দিলে আমরা মহাসড়কে চলতে পারি।
পেটের দায়ে চালাতে হয়।
তবে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরী ভিত্তিতে মহাসড়কে সিএনজি চলাচলে বাধা সৃষ্টি করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশের টি আই প্রশাসন মশিউর আলম বলেন, মহাসড়কে সিএনজি অটোরিকশা চলছে ,কারণ এগুলো নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক তাদের রোড পারমিট দিয়েছে এখানে আমাদের কিছু করার নেই।
তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসক এসব গাড়ির রোড পারমিট দিলেও তাদের কোন টার্মিনালের ব্যবস্থা করেনি।এসব গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে জেলা প্রশাসক নিতে পারে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু অনুসন্ধানে জানা যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলকারি থ্রি হুইলার লেগুনা অটোরিকশা গুলো থেকে টিআই প্রশাসন মশিউর রহমানের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা তুলছে সাদ্দাম হোসেন নামের জনৈক ব্যক্তি চাঁদা চাঁদা নেওয়ার তথ্য-প্রমাণ সংরক্ষিত আছে,এই সকল অভিযোগের বিষয়ে
কাচঁপুর হাইওয়ে থানার অফিসার্স ইনচার্জ সাজ্জাদ করিম খান বলেন, মহাসড়কের সাইনবোর্ড, শিমরাইলমোড়, কাচঁপুর ও রূপগঞ্জ এগুলো হাইওয়ে সড়ক । এ মহাসড়কে কোন প্রকার থ্রি হুইলার চলতে দেয়া হয় না ।
যদিও চলতে দেখা যায় আমরা গাড়ি আটক করে মামলা দিয়ে থাকি। অবৈধ পরিবহন চলাচলে যদি আমাদের কোন লোক সহযোগীতা করে থাকে তাকে ছাড় দেয়া হবে না।