ঢাকা ০৩:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড আজমিরীগঞ্জে  বিয়ের ছয় মাস পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন অভিনব কায়দায় কুমড়া শাকের আড়ালে গাঁজা পাচারকালে ডিএনসি- কুমিল্লার হাতে ১৩ কেজি গাঁজাসহ আটক ০২ নারী মঠবাড়ীয়া সাফলেজা কচুবাড়ীয়া বসত ঘর ভাঙচুর লুটপাট ও যখম এর অভিযোগ আঃ খালেক হাওলাদার গংদের বিরুদ্ধে

যুগ যুগ ধরে বেদখলে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার জমি

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০১:৫১:০৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২
  • / ২৫৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

নিজস্ব প্রতিনিধি।।

সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট থানার জাফলং চা বাগান এলাকার মুসলিম নগর এর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মখলিছুর রহমান। তার পিতা মৃত নাজিম উদ্দিন।

তিনি অবসর প্রাপ্ত একজন বিডিআর সদস্য। ৯০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ বয়সের ভারে এখন নুয়ে পরেছেন। দেশমাতৃকার টানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে সেদিন সহকর্মীদের সাথে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন এবং দেশকে স্বাধীন করেছেন।তার চোখে মুখে তখন একটাই স্বপ্ন ছিল একদিন দেশ স্বাধীন হবে।
প্রতিটি মানুষ খেয়ে-পড়ে বেঁচে থাকবে এবং স্বাধীনভাবে এদেশে বেঁচে থাকে এবং স্বাধীনভাবে অধিকার ভোগ করবে। কিন্তু তিনি স্বাধীনতার এমন স্বপ্ন দেখলেও অন্য মানুষ তো দূরের কথা নিজেই এখন তার স্বাধীনতা ফিরে পাননি।
তাকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। ১৯৮৭ সালে এবং ১৯৯০ সালে নিজের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে যথাক্রমে ৪৪ শতক এবং এক একর ৩৬ শতক ক্রয় করেও এখনো পর্যন্ত দখলে যেতে পারছেন না।
ক্রয়কৃত জমি প্রথম অবস্থায় যদিও তার দখলে ছিল পরবর্তিতে জবর দখল কারীরা জোরপূর্বক তাদের দখলে নিয়ে যায়। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার দেন-দরবার হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
একাধিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেখা যায় যে, ক্রয় কৃত জমি বিবাদী গনের বাড়ির পাশ হওয়ায় এবং বাদীর বাড়ি দূরবর্তী হওয়ায় জোরপূর্বক তার সম্পত্তি ভোগ দখল করিয়া রেখেছে বিবাদীগণ।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যান এমনকি উপজেলা চেয়ারম্যান সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশের মাধ্যমে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করলেও বিবাদী গনের অসহযোগিতার কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
অতএব অবশেষে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
জেলা পুলিশ সুপার এবং জেলা গোয়েন্দা বিভাগ সহ একাধিক দপ্তরে বিষয়টি আপোষ মিমাংসার জন্য আবেদন করা হয়।
পুলিশ সুপার সিলেট এর অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দেখা যায়, অভিযোগকারী মখলিছুর রহমান বিডিআরে চাকরিরত অবস্থায় ১/মকসুদুল আম্বিয়া চৌধুরী২/ নজরুল আলম চৌধুরী ৩/ মোহাম্মদ কয়ছরুল আলম চৌধুরী ৪/ আফসারুল আলম চৌধুরী সর্ব পিতা মৃত আবদুল ফাতাহ চৌধুরী সর্ব সাং-জাফলং চা বাগান, গোয়াইনঘাট সিলেট এর নিকট হইতে ১৬/০১/১৯৯০ সনে ৪৪ শতক এবং পেংকুরাম চুটিয়া পিতা-মৃত পেটুরাম চুটিয়া জাফলং চা গোয়াইনঘাট সিলেট এর নিকট হইতে ০১/০৩/১৯৮৭ সনে ১ একর ৩৬ শতক জমি সাফ কবলা দলিল মূলে ক্রয় করে।
জেলা পুলিশ সুপারের অনুসন্ধানী প্রতিবেদক অভিযোগের ভিত্তিতে উভয়পক্ষকে জমির সমস্ত দলিলপত্র উপস্থাপন করতে বলিলে, বাদি মখলিছুর রহমান কাগজপত্র উপস্থাপন করলেও বিবাদী গন তা উপস্থাপন করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়।
অতএবএতকিছুর পরও বিবাদী গন শুধুমাত্র গায়ের জোরে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একজন অসহায় মুক্তিযোদ্ধার জমি অন্যায় ভাবে দখল করে রেখেছে।
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মখলিছুর রহমান জবর দখলকারী দের হাত থেকে তার জমি ফিরে পাবে এবং তার অধিকার নিশ্চিত হবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

যুগ যুগ ধরে বেদখলে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার জমি

আপডেট টাইম : ০১:৫১:০৬ অপরাহ্ণ, সোমবার, ৭ মার্চ ২০২২

নিজস্ব প্রতিনিধি।।

সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট থানার জাফলং চা বাগান এলাকার মুসলিম নগর এর বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মখলিছুর রহমান। তার পিতা মৃত নাজিম উদ্দিন।

তিনি অবসর প্রাপ্ত একজন বিডিআর সদস্য। ৯০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধ বয়সের ভারে এখন নুয়ে পরেছেন। দেশমাতৃকার টানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে সেদিন সহকর্মীদের সাথে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন এবং দেশকে স্বাধীন করেছেন।তার চোখে মুখে তখন একটাই স্বপ্ন ছিল একদিন দেশ স্বাধীন হবে।
প্রতিটি মানুষ খেয়ে-পড়ে বেঁচে থাকবে এবং স্বাধীনভাবে এদেশে বেঁচে থাকে এবং স্বাধীনভাবে অধিকার ভোগ করবে। কিন্তু তিনি স্বাধীনতার এমন স্বপ্ন দেখলেও অন্য মানুষ তো দূরের কথা নিজেই এখন তার স্বাধীনতা ফিরে পাননি।
তাকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। ১৯৮৭ সালে এবং ১৯৯০ সালে নিজের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে যথাক্রমে ৪৪ শতক এবং এক একর ৩৬ শতক ক্রয় করেও এখনো পর্যন্ত দখলে যেতে পারছেন না।
ক্রয়কৃত জমি প্রথম অবস্থায় যদিও তার দখলে ছিল পরবর্তিতে জবর দখল কারীরা জোরপূর্বক তাদের দখলে নিয়ে যায়। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার দেন-দরবার হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
একাধিক সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেখা যায় যে, ক্রয় কৃত জমি বিবাদী গনের বাড়ির পাশ হওয়ায় এবং বাদীর বাড়ি দূরবর্তী হওয়ায় জোরপূর্বক তার সম্পত্তি ভোগ দখল করিয়া রেখেছে বিবাদীগণ।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় মেম্বার চেয়ারম্যান এমনকি উপজেলা চেয়ারম্যান সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশের মাধ্যমে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করলেও বিবাদী গনের অসহযোগিতার কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
অতএব অবশেষে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
জেলা পুলিশ সুপার এবং জেলা গোয়েন্দা বিভাগ সহ একাধিক দপ্তরে বিষয়টি আপোষ মিমাংসার জন্য আবেদন করা হয়।
পুলিশ সুপার সিলেট এর অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দেখা যায়, অভিযোগকারী মখলিছুর রহমান বিডিআরে চাকরিরত অবস্থায় ১/মকসুদুল আম্বিয়া চৌধুরী২/ নজরুল আলম চৌধুরী ৩/ মোহাম্মদ কয়ছরুল আলম চৌধুরী ৪/ আফসারুল আলম চৌধুরী সর্ব পিতা মৃত আবদুল ফাতাহ চৌধুরী সর্ব সাং-জাফলং চা বাগান, গোয়াইনঘাট সিলেট এর নিকট হইতে ১৬/০১/১৯৯০ সনে ৪৪ শতক এবং পেংকুরাম চুটিয়া পিতা-মৃত পেটুরাম চুটিয়া জাফলং চা গোয়াইনঘাট সিলেট এর নিকট হইতে ০১/০৩/১৯৮৭ সনে ১ একর ৩৬ শতক জমি সাফ কবলা দলিল মূলে ক্রয় করে।
জেলা পুলিশ সুপারের অনুসন্ধানী প্রতিবেদক অভিযোগের ভিত্তিতে উভয়পক্ষকে জমির সমস্ত দলিলপত্র উপস্থাপন করতে বলিলে, বাদি মখলিছুর রহমান কাগজপত্র উপস্থাপন করলেও বিবাদী গন তা উপস্থাপন করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়।
অতএবএতকিছুর পরও বিবাদী গন শুধুমাত্র গায়ের জোরে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একজন অসহায় মুক্তিযোদ্ধার জমি অন্যায় ভাবে দখল করে রেখেছে।
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মখলিছুর রহমান জবর দখলকারী দের হাত থেকে তার জমি ফিরে পাবে এবং তার অধিকার নিশ্চিত হবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।