সাতক্ষীরার কলারোয়া হাসপাতাল ময়লা আবর্জনায় স্তুপ হাসপাতালের বাইরে প্যাথলজি ও ক্লিনিকে রোগী দেখে সময় পার
- আপডেট টাইম : ০৬:৪৪:৪৭ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২২
- / ২৪০ ৫০০০.০ বার পাঠক
কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কলারোয়া হাসপাতাল এখন ময়লা আবর্জনায় ভর্তি। হাসপাতালের ডাক্তারা হাসপাতালে সময় না দিয়ে হাসপাতালের বাইরে প্যাথলজি ও ক্লিনিকে সেন্টার খুলে রোগী দেখে সময় পার করছেন তারা। একজন সরকারী ডাক্তার হাসপাতালে কম সময় দিয়ে মাসের পর মাস সরকারী বেতন তুলছেন। আবার প্যাথলি ও ক্লিনিক খুলে ব্যবসাও করছেন। অবশ্যই এই সকল ডাক্তারদের বাড়ী কলারোয়ায় হওয়ায় তারা এই কাজ বিনা বাধায় চালিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালে কোন রোগী আসলে সাথে সাথে সাতক্ষীরায় পাঠিয়ে দিয়ে দায়মুক্ত হন তারা। আর এই সময়ে তারা পর্যায় ক্রমে ৭০/৭৫ টি ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের কাছ থেকে ফ্রি স্যাম্পুল (ওষুধ) নিতে থাকেন। যার কারনে হাসপাতালে চিকিৎসা না দেওয়ায় অনেক রোগী সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান। এমনকি এই হাসপাতালে নেই কোন গাইনী ডাক্তার। যা দীর্ঘ দিন ধরে পদটি শুন্যর কোটায় থাকলেও কারর কোন মাথা ব্যাথা নেই। কারণ একটাই গর্ভবতী মায়েদের ক্লিনিকে ভর্তি করতে পারলেই ডাক্তারা পবেন টাকা আর টাকা। আর রোগীদের কৌশলে তাদের পছন্দের ক্লিনিকে ভর্তি করেন ডাক্তারা। এছাড়াও হাসপাতালে কোন অসহায় মানুষ ৩টাকা দিয়ে টিকিট নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার সাহেব লিখে দেন ৪/৫ প্রকার ল্যাব টেস্ট। গরিব অসহায় মানুষের টাকা না থাকায় তারা ল্যাব টেস্ট করাতে না পেরে বিনা চিকিৎসায় বাড়ীতে ফিরছে। কেউ কেউ ল্যাব টেস্ট করে নিয়ে যাচ্ছে ডাক্তারের কাছে। আর এই ল্যাব টেস্ট করানোর টাকা থেকে ৪০% টাকা ওই রিপোর্ট লেখানো ডাক্তার পাচ্ছেন। রোগী বিশেষ ডাক্তারের ফি ৩০০টাকা আর কৌশলে টেস্ট করানো রিপোর্ট থেকে পাচ্ছে ৪০০টাকা। তাহলে একজন ডাক্তার এক রোগীর কাছ থেকে পাচ্ছেন ৭০০টাকা। তাহলে এখন রোগী ওষুধ কিনবেন কি করে। কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জিয়াউর রহমান হাসপাতালে যোগদানের পর থেকে এই অবস্থা শুরু হয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন। হাসপাতালের সামনে ৩টি ক্লিনিক ও ৬টি প্যাথলজি সেন্টারের দোকান খোলা রয়েছে। এই সেন্টার এখন রোগী ধরার ফাঁদ। এখন আরো একটি ক্লিনিকের দোকান উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। কলারোয়ার ডাক্তাররা সরকারী হাসপাতাল এখন পারিবারিক হাসপাতালে পরিণত করেছে। ডাক্তাররা দীর্ঘ দিন ধরে হাসপাতালে কর্মরত থাকায় এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে ডাক্তাররা ফুলে কলাগাছ হচ্ছে আর অন্যদিকে রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিছু কিছু ডাক্তার ঢাকায় ফ্লিলাট কিনছে। আর কলারোয়ায় ৩/৪ স্থানে জমি কিনছে। এসকল বিষয়ে তদন্ত করলে সব রেব হয়ে আসবে। এলাকার গবীর অসহায় মানুষের দাবী দূর্নীতিবাজ এসব ডাক্তারের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে শাস্তিমূলক ভাবে বদলির দাবী জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সরকারী জমি দখল করে বসত বাড়ী ও দোকান ঘর নিমাণের অভিযোগ
কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় সরকারী জমি দখল করে বসত বাড়ী ও দোকান ঘর নিমাণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে—উপজেলার জালালাবাদ বাজারে। এলাকাবাসীরা জানান—শংকরপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক মিজানুর রহমান ১৯৮৫সালে জালালাবাদ বাজারে ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসলেম আহম্মেদের কাছ থেকে ১শতক জমি ক্রয় করে সেখানে দেড় শতক জমি দখল করে বসত বাড়ী ও দোকান ঘর নিমাণের চেষ্টা করে। এসময় এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সাবেক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আক্তার হোসেন ঘটনা স্থান পরিদর্শন করে সরকারী জায়গা মাপযোগ করে তার নির্মাণাধীন দোকান ঘর ভেঙ্গে দিয়ে স্থাপনা বন্ধের নির্দেশ দেন। তিনি বদলী হয়ে যাওয়ার পরে জালালাবাদ ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে আবারও ওই জায়গায় দোকান ঘর নির্মানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে জালালাবাদ ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা জানান—তিনি মিজানুর রহমানকে জমি মাপযোগের পর দোকান ঘর নির্মানের কথা বলেছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে আবারও তিনি দোকান ঘর নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন—ওই স্থানে সরকারের ১৮শতক জমি রয়েছে। তিনি ওই জমি মাপ দিয়ে বের করে নিবেন। এদিকে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক মিজানুর রহমান নাম প্রকাশ না করার সত্তে জানান—উপজেলার এক নেতার নির্দেশে ওই দোকান ঘর নির্মান করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন—আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দোকান ঘর নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে। জালালাবাদ বাজার ও এলাকাবাসীরা অবৈধ দোকান ঘর উচ্ছেদ এর দাবীতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।