গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন এলাকায় গাজীপুর গ্যালাক্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রাচীর ভাঙচুর।
- আপডেট টাইম : ০১:৪৭:৪৪ অপরাহ্ণ, বুধবার, ১২ জানুয়ারি ২০২২
- / ৩১৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
স্টাফ রিপোর্ট।।।
গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন এলাকায় গাজীপুর গ্যালাক্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল আফতাব নগর সারদাগঞ্জ ৪নং ওয়ার্ড কাশিমপুর গাজীপুর মহানগর, এই বিদ্যালয়টি অনেক বৎসর যাবত নিয়মিত শিক্ষাদান চালিয়ে আসছে শিক্ষার মান অনেক উন্নত প্রতিষ্ঠানটি খুব সুন্দর সুশৃংখল ভাবে পরিচালিত হচ্ছে।
কিন্তু হঠাৎ গত ১০/০১/২০২২ ইংরেজি আনুমানিক রাত ১২.৩০ এর সময় কে বা কাহারা বিদ্যালয়ের উপর ষড়যন্ত্র করে বিদ্যালয়ের সিমেন্টের খুঁটির প্রাচীর ভাঙচুর করে রেখে যায়। সকালে প্রতিবেশীর সংবাদ পেয়ে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ মাজহারুল ইসলাম প্রতীক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
প্রতিষ্ঠাতা মাজহারুল ইসলাম প্রতীক তার প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের দৃশ্য দেখে গাজীপুর ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক কে বিষয়টি অবগত করেন।
খবর পেয়ে কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সত্যতা দেখতে পায়।
এমত অবস্থায় অনেক মিডিয়াকর্মী খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় মিডিয়াকর্মীর প্রশ্নের জবাবে জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক কাউন্সিলর তিনি বলেন এটা আসলেই অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা।
কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ এখানে আমাদের সবার ছেলে মেয়ে শিক্ষা গ্রহণ করেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে যদি কারো কোনো দ্বন্দ্ব থেকে থাকে সে ক্ষেত্রে তার সাথেই প্রতিহত করা যেত।
কিন্তু সন্ত্রাসী বাহিনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে ঘটনা ঘটিয়েছে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই সেই সাথে দোষীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কাশিমপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি জনাব মোঃ মনির হোসেন মন্ডল, বলেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন। কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভার্নালিজম চলবে না। কোন মদদ দাতার প্রলোভনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করবে, এটা কখনোই বরদাস্ত করা হবে না। শিক্ষক অথবা প্রতিষ্ঠান মালিকের দ্বন্দ্বের ফল ছাত্ররা ভোগ করবে, সেটা আমি কখনোই দেখতে চাই না।
এমনিতেই করোনাভাইরাসের কারণে দেড় বছরের অধিক সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেশে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে তিন হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুল। বেকার হয়েছেন প্রায় তিন লাখ ৬০ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী।
শিক্ষকরা জানিয়েছে, করোনায় প্রতিষ্ঠানের আয় বন্ধ থাকলেও ব্যয় অব্যাহত থাকায় এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
এদের মধ্যে কেউ কেউ স্কুল ঘর বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করেছে। আবার অনেক শিক্ষক পেশা বদল করে অন্য পেশায় চলে গেছেন।
গাজীপুর জেলা ৪ নং ওয়ার্ড কিন্ডার গার্ডেন অ্যাসোসিয়েশন সমস্বয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নেসার আহমেদ বলেন, করোনাকালে বেসরকারি কিন্ডার গার্ডেন স্কুল গুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অনেক স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাজার হাজার উচ্চ শিক্ষিত শিক্ষক বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। জেলার সরকারি স্কুলগুলোর চেয়ে কিন্ডার গার্ডেনে পড়াশোনার মান ও ফলাফল ভাল হয়। এজন্য কিন্ডার গার্ডেনকে রক্ষা করতে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন কিন্ডারগার্ডেন কর্তৃপক্ষ।
তাই করোনার ঝুঁকি কাটিয়ে সবেমাত্র স্কুলগুলো রানিং এর প্রক্রিয়া দিন চলছে এমত অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে এরকম আচার-ব্যবহার করা একজন সুস্থ মানুষের কাজ হতে পারে না, আমরা অবশ্যই এই দুষ্কৃতী সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।