ঢাকা ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত রায়পুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের দুর্নীতিত অতিষ্ঠ জনসাধারণ সমাবেশে গিয়ে টাকা না পেয়ে বাড়ি ঘেরাও, ৫ প্রতারক আটক অভিনব সিন্ডিকেট: সয়াবিন তেলের সঙ্গে চাল-ডাল কেনা বাধ্যতামূলক! সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন হাসনাত ডেপুটি রেজিস্ট্রার হয়েও নার্সিং ইনস্টিটিউট ব্যবসা নিলুফার ইয়াসমিনের অভিযোগ তদন্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তলব পুলিশ প্রশাসনের নীতিগত পরিবর্তন হলেও এসআই মিজানের অসাধু নীতির পরিবর্তন হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ে নারীদের ভূমি অধিকার ও কৃষি ভূমি সংষ্কার বিষয়ক সমাবেশ কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিক গ্রেফতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত

বাউসা ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডের অনিয়ম, সচিব করলেন চাল বিতরণ

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:৪৪:০৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২ জানুয়ারি ২০২২
  • / ২৬৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

রাজশাহী ব্যুরোঃ দীর্ঘ ৫ বছর পরে গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে চতুর্থ ধাপে বাউসা ইউপি নির্বাচন। এ নির্বাচনে পর চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নব নির্বাচিতদের এখনও শপথ গ্রহন হয়নি। তাই রবিবার (০২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় ইউনিয়নের সচিব এ চাল বিতরণ করেন। ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে মোট ৪৪৫ জন সুবিধা ভোগীদের মাঝে এ চাল বিতরণ করা হয়। তবে ভিজিডি কার্ডের ব্যাপারে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে এর সত্যতাও মিলেছে।

ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের চকবাউসা এলাকার মৃত নজরুল ইসলাম এর স্ত্রী মরিয়ম বলেন, আমার স্বামী নেই আমি খুব অসহায়। ভিজিডি কার্ডের জন্য গত এক বছর আগে স্থানীয় আ’লীগ নেতা মিজানুর রহমানের কাছে কাগজ পত্র জমা দিয়েছি। কিন্তুু ১১টি মাস কেটে গেল জানতেই পারিনি যে আমার নামে ভিজিডি কার্ড হয়েছে। আজ ১২তম মাসে প্রথম চাল পেলাম।

ফতিয়ারদাড় এলাকার আরিফা বেগমের পিতা আব্দুল লতিফ অভিযোগ করে বলেন, ৭,৮ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মাজেদা বেগম এর মাধ্যমে কার্ড করা হয়েছে। কিন্তুু আজ জানতে পারলাম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন,বাউসা ভাড়ালিপাড়া এলাকার কাবিল উদ্দিন নামের একজনের ভিজিডি কার্ড রয়েছে কিন্তুু তিনি তা জানেন না।

বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়, ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালাম আজাদ ২ বস্তা চাল পাওয়ার আগেই অন্যত্র বিক্রি করেছে। মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন।

৭ নং ওয়ার্ডের মাঞ্জুরা নামের এক সুবিধা ভোগী জানান, বস্তার ওজন ৩০ কেজি হওয়ার কথা থাকলেও ওজনে ২ কেজি কম হয়।

অপরদিকে ৯ নং ওয়ার্ড এলাকার জাহিদুল নামের একজন বলেন, আমি অন্যের জমিতে বসবাস করি। ভ্যান চালিয়ে কোন মতে সংসার চালাই। অথচ আমার বাড়ি দেখিয়ে, আমার স্ত্রীর ছবি ব্যাবহার করে কার্ড করে একজন সচ্ছল ব্যাক্তিকে দেওয়া হচ্ছে ভিজিডি সুবিধা। আমি এর প্রতিকার চাই।

সরেজমিনে অন্যের কার্ড হাতে অনেককেই দেখা যায়। তাদের কে ট্যাগ অফিসার চাল দিতে না চাইলে পরে গ্রাম পুলিশদের সুপারিশে চাল দেয়া হয়।

অসংখ্য কার্ডধারী জানেন না তাদের কার্ড হয়েছে। অথচ ১১টি মাস কে উত্তলন করেছে এই চাল ? এমন প্রশ্ন বিরাজ করছে সচেতন মহলে।

এ সকল অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব রফি আহমেদ কোন কিছুই বলতে চাই নি।

উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইমরান আলী
বলেন, আমার নামে ডিও হওয়ায় পরিষদের সচিব কে বলি যার যার কার্ড তাকে দিতে । আর তাই সকল কার্ডধারীরা নিজের হাতে কার্ড বুঝে পেয়েছে। তবে ১১ মাস চাল না পাওয়ার বিষয়ে আমার জানা নেই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইমরান আলী,বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব রফি আহমেদ, সমতা নারী কল্যাণ সংস্থার ট্রেইনার সারমিন আক্তার, গ্রাম পুলিশের দফাদার মোমিন প্রমুখ।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাউসা ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডের অনিয়ম, সচিব করলেন চাল বিতরণ

আপডেট টাইম : ০৪:৪৪:০৯ অপরাহ্ণ, রবিবার, ২ জানুয়ারি ২০২২

রাজশাহী ব্যুরোঃ দীর্ঘ ৫ বছর পরে গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে চতুর্থ ধাপে বাউসা ইউপি নির্বাচন। এ নির্বাচনে পর চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নব নির্বাচিতদের এখনও শপথ গ্রহন হয়নি। তাই রবিবার (০২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় ইউনিয়নের সচিব এ চাল বিতরণ করেন। ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে মোট ৪৪৫ জন সুবিধা ভোগীদের মাঝে এ চাল বিতরণ করা হয়। তবে ভিজিডি কার্ডের ব্যাপারে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিনে এর সত্যতাও মিলেছে।

ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের চকবাউসা এলাকার মৃত নজরুল ইসলাম এর স্ত্রী মরিয়ম বলেন, আমার স্বামী নেই আমি খুব অসহায়। ভিজিডি কার্ডের জন্য গত এক বছর আগে স্থানীয় আ’লীগ নেতা মিজানুর রহমানের কাছে কাগজ পত্র জমা দিয়েছি। কিন্তুু ১১টি মাস কেটে গেল জানতেই পারিনি যে আমার নামে ভিজিডি কার্ড হয়েছে। আজ ১২তম মাসে প্রথম চাল পেলাম।

ফতিয়ারদাড় এলাকার আরিফা বেগমের পিতা আব্দুল লতিফ অভিযোগ করে বলেন, ৭,৮ও ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মাজেদা বেগম এর মাধ্যমে কার্ড করা হয়েছে। কিন্তুু আজ জানতে পারলাম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন,বাউসা ভাড়ালিপাড়া এলাকার কাবিল উদ্দিন নামের একজনের ভিজিডি কার্ড রয়েছে কিন্তুু তিনি তা জানেন না।

বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়, ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য আবুল কালাম আজাদ ২ বস্তা চাল পাওয়ার আগেই অন্যত্র বিক্রি করেছে। মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন।

৭ নং ওয়ার্ডের মাঞ্জুরা নামের এক সুবিধা ভোগী জানান, বস্তার ওজন ৩০ কেজি হওয়ার কথা থাকলেও ওজনে ২ কেজি কম হয়।

অপরদিকে ৯ নং ওয়ার্ড এলাকার জাহিদুল নামের একজন বলেন, আমি অন্যের জমিতে বসবাস করি। ভ্যান চালিয়ে কোন মতে সংসার চালাই। অথচ আমার বাড়ি দেখিয়ে, আমার স্ত্রীর ছবি ব্যাবহার করে কার্ড করে একজন সচ্ছল ব্যাক্তিকে দেওয়া হচ্ছে ভিজিডি সুবিধা। আমি এর প্রতিকার চাই।

সরেজমিনে অন্যের কার্ড হাতে অনেককেই দেখা যায়। তাদের কে ট্যাগ অফিসার চাল দিতে না চাইলে পরে গ্রাম পুলিশদের সুপারিশে চাল দেয়া হয়।

অসংখ্য কার্ডধারী জানেন না তাদের কার্ড হয়েছে। অথচ ১১টি মাস কে উত্তলন করেছে এই চাল ? এমন প্রশ্ন বিরাজ করছে সচেতন মহলে।

এ সকল অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব রফি আহমেদ কোন কিছুই বলতে চাই নি।

উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইমরান আলী
বলেন, আমার নামে ডিও হওয়ায় পরিষদের সচিব কে বলি যার যার কার্ড তাকে দিতে । আর তাই সকল কার্ডধারীরা নিজের হাতে কার্ড বুঝে পেয়েছে। তবে ১১ মাস চাল না পাওয়ার বিষয়ে আমার জানা নেই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ইমরান আলী,বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ সচিব রফি আহমেদ, সমতা নারী কল্যাণ সংস্থার ট্রেইনার সারমিন আক্তার, গ্রাম পুলিশের দফাদার মোমিন প্রমুখ।