ঢাকা ১১:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
নাসিরনগরে হত্যা মামলার আসামী সহ ২ জন গ্রেফতার ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষক কর্মচারী কো- অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সাধারণ সভা ও নির্বাচন আমতলী-তালতলী সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবীতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত ডায়াবেটিস রোগীদের বনাজি গাছ দাঁড়ায় রোগ নিয়ন্ত্রণ শহিদদের নামে প্রতি উপজেলায় স্টেডিয়াম: ক্রীড়া উপদেষ্টা পল্লবীতে দুই ছেলেকে গলা কেটে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা ২৮ বছরে প্রথমবার কলকাতার বইমেলায় নেই বাংলাদেশ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্র সংস্কারই সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ: প্রধান উপদেষ্টা ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষক ও ক্রেতার মেলবন্ধনের বাজার মানবতার সওদাপাতি ব্যর্থ প্রেম’ বিষয়ক উপদেষ্টা, মুখ খুললেন বাপ্পারাজ

আগামীকাল (২৬ ডিসেম্বর) বাঘায় তিন ইউপি নির্বাচন ঃ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয়, আওয়ামলীগ প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা,

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৪:২০:১৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ২২৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি।।

আগামীকাল রোববার(২৬ ডিসেম্বর) চতুর্র্থধাপের রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। বিছিন্ন কিছু ঘটনায় সহিংসতার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়লেও সেই শঙ্কায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যেই শেষ হয়েছে শেষ মুহুর্তের প্রচার-প্রচারণা।
শান্তিপুর্ন, ভোট গ্রহনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয়। রাজশাহী জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার ও নির্বাচন অফিসার বলেছেন,ভোট কেন্দ্রে ও ভোটারদের নিরাপত্তার স্বার্থে সকল ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন। তাই শঙ্কার কোন কারন নেই। ভোট গ্রহণের দিন বিশৃঙ্খলা করলে, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আইন লঙ্ঘনের কোন অভিযোগ পাওয়া গেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এতে করে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার পরিবেশ বজায় থাকবে বলে মন্তব্য করছেন ভোটাররা। তবে শঙ্কা কাটিয়ে উঠতে পারেননি আ’লীগ দলের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ বিএনপি দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

উপজেলার যে তিনটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে,সেগুলো হলো- আড়ানী,বাউসা ও যোগাযোগ বিছিন্ন পদ্মার চরাঞ্চলের চকরাজাপুর। ইউনিয়ন ৩টিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বদ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের দলীয় ৩ প্রার্থীসহ ৮ প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে দলীয় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত অবজ্ঞা করে দুটি ইউনিয়নে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন ২ বিদ্রোহী প্রার্থী। বিএনপি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন বর্জন করলেও স্বতন্ত্রের আড়ালে দুইটি ইউনিয়নে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন বিএনপির দুই প্রার্থীরা।
আড়ানী ইউনিয়নে চার চেয়ারম্যান প্রার্থী হলো-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী, সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম (নৌকা), বিএনপি দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী ,সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন (আনারস),বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির এনামুল হক (হাতুিড় মার্কা) স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহাতাব আলী (মোটরসাইকেল) ।
বাউসায় ৩জন হলো- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী শফিকুর রহমান নৌকা), বিএনপি দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন (আনারস) ও আ’লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নূর মোহাম্মদ (মোটরসাইকেল)। চকরাজাপুরে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ডিএম বাবুল মনোয়ার (নৌকা), আ’লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযম (আনারস)। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আ’লীগের দুই নেতা নুর মোহাম্মদ ও আজিজুল আযমকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

তবে আত্মীয়তার বন্ধন ও গোষ্ঠীতন্ত্রের কারণে, ভোটের সমীকরণে আওয়ামী লীগের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী। আর এই সুযোগটিকেই জয়ের সম্ভাবনা হিসেবে ভাবছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ভোটারদের কেউ, প্রতীক দেখে আবার কেউ ,ব্যক্তি দেখে ভোট দিবেন বলে জানিয়েছেন। তাদের কথায় কেই কারো চাইতে পিছিয়ে নেই। সবাই সমান সমান।
বিজয়ের সেই সম্ভাবনাকে হাতছাড়া না করে, প্রচার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের জেলা ও উপজেলা কমিটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুর ইসলাম বাবুল জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী দুইজনের বিরুদ্ধে দলগত সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নির্দেশমতে বহিস্কার করা হয়েছে। দলের সব নেতা-কর্মী নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। জয়ের আশা তাদেরই।

উপজেলা বিএনপির আহŸায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফকরুল হাসান বাবুল জানান, ইউপি নির্বাচনে অংশ নিতে দলীয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে গোষ্ঠীগত ও আঞ্চলিকতার কারণে কেউ যদি চতুর্থ ধাপের এই নির্বাচনে অংশ নেন সেক্ষেত্রে কাউকে নিষেধ করা হয়নি।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন জানান, শান্তিপুর্ন ভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার সাথে ভোট অনুষ্ঠিত করতে নেয়া হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৯/১০ ঝুকিপুর্ন হিসেবে চিহিৃত করা হলেও শান্তিপুর্ন ভাবে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে । ভোট গ্রহন থেকে ভোটের পরবর্তী সময় পর্যন্ত কোথাও কোন ধরনের বিশৃংখলার চেষ্টা করা হলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।
প্রতিটি ইউনিয়নে মোবাইল ও ষ্টাইকিং ফোর্সসহ থাকছে নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেটের মোবাইল টিম। এতে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে পুলিশ-আনছার মিলে ২২-২৪জন। একজন উপ পরিদর্শকের নের্তৃত্বে থাকবে অস্ত্রধারি ৫জন পুলিশ ও ২জন আনছার ।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মুজিবুল হক জানান, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তিনটি ইউনিয়নের ৩১টি ভোট কেন্দ্রের ১৪৫ টি বুথের মাধ্যমে ভোট নেয়া হবে । তারই প্রেক্ষিতে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৩১ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী পৌছে দেয়া সম্পন্ন করা হয়।
উল্লেখ্য,অনুষ্ঠিতব্য তিন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৮জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আড়ানি ইউনিয়নে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৮ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৭ জন, বাউসায় সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১২ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৭ জন ও চকরাজাপুর ইউনিয়নে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১০ জন সাধারণ সদস্য পদে ২৬ জন ও প্রার্থী প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন।
তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে, আড়ানী ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৮ হাজার ৮৮৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৪১৩ ও নারী ৪ হাজার ৪৭১ জন। বাউসা ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ৭৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৩১ ও নারী ১২ হাজার ৪৪ জন। চকরাজাপুর ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৯৫৬ ও নারী ৪ হাজার ৭৫৪ জন।##

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

আগামীকাল (২৬ ডিসেম্বর) বাঘায় তিন ইউপি নির্বাচন ঃ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয়, আওয়ামলীগ প্রার্থীদের চ্যালেঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা,

আপডেট টাইম : ০৪:২০:১৫ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি।।

আগামীকাল রোববার(২৬ ডিসেম্বর) চতুর্র্থধাপের রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। বিছিন্ন কিছু ঘটনায় সহিংসতার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়লেও সেই শঙ্কায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যেই শেষ হয়েছে শেষ মুহুর্তের প্রচার-প্রচারণা।
শান্তিপুর্ন, ভোট গ্রহনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয়। রাজশাহী জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার ও নির্বাচন অফিসার বলেছেন,ভোট কেন্দ্রে ও ভোটারদের নিরাপত্তার স্বার্থে সকল ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছেন। তাই শঙ্কার কোন কারন নেই। ভোট গ্রহণের দিন বিশৃঙ্খলা করলে, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আইন লঙ্ঘনের কোন অভিযোগ পাওয়া গেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। এতে করে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার পরিবেশ বজায় থাকবে বলে মন্তব্য করছেন ভোটাররা। তবে শঙ্কা কাটিয়ে উঠতে পারেননি আ’লীগ দলের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ বিএনপি দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

উপজেলার যে তিনটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে,সেগুলো হলো- আড়ানী,বাউসা ও যোগাযোগ বিছিন্ন পদ্মার চরাঞ্চলের চকরাজাপুর। ইউনিয়ন ৩টিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বদ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের দলীয় ৩ প্রার্থীসহ ৮ প্রার্থী। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে দলীয় হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত অবজ্ঞা করে দুটি ইউনিয়নে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন ২ বিদ্রোহী প্রার্থী। বিএনপি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন বর্জন করলেও স্বতন্ত্রের আড়ালে দুইটি ইউনিয়নে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন বিএনপির দুই প্রার্থীরা।
আড়ানী ইউনিয়নে চার চেয়ারম্যান প্রার্থী হলো-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী, সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম (নৌকা), বিএনপি দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী ,সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন (আনারস),বাংলাদেশ ওয়াকার্স পার্টির এনামুল হক (হাতুিড় মার্কা) স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহাতাব আলী (মোটরসাইকেল) ।
বাউসায় ৩জন হলো- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী শফিকুর রহমান নৌকা), বিএনপি দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার হোসেন (আনারস) ও আ’লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নূর মোহাম্মদ (মোটরসাইকেল)। চকরাজাপুরে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ডিএম বাবুল মনোয়ার (নৌকা), আ’লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযম (আনারস)। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আ’লীগের দুই নেতা নুর মোহাম্মদ ও আজিজুল আযমকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

তবে আত্মীয়তার বন্ধন ও গোষ্ঠীতন্ত্রের কারণে, ভোটের সমীকরণে আওয়ামী লীগের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী। আর এই সুযোগটিকেই জয়ের সম্ভাবনা হিসেবে ভাবছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ভোটারদের কেউ, প্রতীক দেখে আবার কেউ ,ব্যক্তি দেখে ভোট দিবেন বলে জানিয়েছেন। তাদের কথায় কেই কারো চাইতে পিছিয়ে নেই। সবাই সমান সমান।
বিজয়ের সেই সম্ভাবনাকে হাতছাড়া না করে, প্রচার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের জেলা ও উপজেলা কমিটির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আশরাফুর ইসলাম বাবুল জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারী দুইজনের বিরুদ্ধে দলগত সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নির্দেশমতে বহিস্কার করা হয়েছে। দলের সব নেতা-কর্মী নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। জয়ের আশা তাদেরই।

উপজেলা বিএনপির আহŸায়ক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফকরুল হাসান বাবুল জানান, ইউপি নির্বাচনে অংশ নিতে দলীয় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে গোষ্ঠীগত ও আঞ্চলিকতার কারণে কেউ যদি চতুর্থ ধাপের এই নির্বাচনে অংশ নেন সেক্ষেত্রে কাউকে নিষেধ করা হয়নি।

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসেন জানান, শান্তিপুর্ন ভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার সাথে ভোট অনুষ্ঠিত করতে নেয়া হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ১৪৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৯/১০ ঝুকিপুর্ন হিসেবে চিহিৃত করা হলেও শান্তিপুর্ন ভাবে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে । ভোট গ্রহন থেকে ভোটের পরবর্তী সময় পর্যন্ত কোথাও কোন ধরনের বিশৃংখলার চেষ্টা করা হলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।
প্রতিটি ইউনিয়নে মোবাইল ও ষ্টাইকিং ফোর্সসহ থাকছে নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেটের মোবাইল টিম। এতে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ও নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে পুলিশ-আনছার মিলে ২২-২৪জন। একজন উপ পরিদর্শকের নের্তৃত্বে থাকবে অস্ত্রধারি ৫জন পুলিশ ও ২জন আনছার ।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মুজিবুল হক জানান, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তিনটি ইউনিয়নের ৩১টি ভোট কেন্দ্রের ১৪৫ টি বুথের মাধ্যমে ভোট নেয়া হবে । তারই প্রেক্ষিতে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৩১ টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী পৌছে দেয়া সম্পন্ন করা হয়।
উল্লেখ্য,অনুষ্ঠিতব্য তিন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৮জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আড়ানি ইউনিয়নে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৮ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৭ জন, বাউসায় সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১২ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৭ জন ও চকরাজাপুর ইউনিয়নে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১০ জন সাধারণ সদস্য পদে ২৬ জন ও প্রার্থী প্রতিদ্ব›দ্বীতা করছেন।
তিনটি ইউনিয়নের মধ্যে, আড়ানী ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৮ হাজার ৮৮৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৪১৩ ও নারী ৪ হাজার ৪৭১ জন। বাউসা ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ৭৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৩১ ও নারী ১২ হাজার ৪৪ জন। চকরাজাপুর ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪ হাজার ৯৫৬ ও নারী ৪ হাজার ৭৫৪ জন।##