পাথরঘাটায় ইউপি নির্বাচনে নৌকার গনসংযোগে কেন্দ্রীয় নেতারা
- আপডেট টাইম : ০৬:৫২:৩৩ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১
- / ২৩৩ ৫০০০.০ বার পাঠক
নুরুল আমিন মিল্টন (বরগুনা প্রতিনিধি।।
তৃতীয় ধাপে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের নির্বাচনে চেয়ারম্যানদের পক্ষে গনসংযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী মহিলা লীগ ও যুবলীগের নেতারা। তারা বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে নৌকার পক্ষে ভোট চাচ্ছেন ভোটারদের কাছে। তারা হচ্ছেন, কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও ৩১৪ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ নাসিমা ফেরদৌসী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বাবু সুভাষ চন্দ্র হাওলাদার, বরগুনা-২ আসনের প্রয়াত সংসদ গোলাম সবুর টুলু ও বর্তমান সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ সুলতানা নাদিরার ছোট কন্যা হাচছানা নাদিরা সবুর, মহানগরী উত্তরা থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ঝর্না ইসলাম ও উত্তরখান থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মুক্তি,কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের প্রথম যুগ্ম সম্পাদক আসাদুজ্জামান নাদিম।
পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর, নাচনাপাড়া, চরদুয়ানী ও পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নে নির্বাচন আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে চরদুয়ানী ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আওয়ামীলীগের প্রার্থী আব্দুর রহমান জুয়েল চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি তিন ইউনিয়নে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে উপজেলার সকল নেতাকর্মীরা এক যোগে নৌকা মার্কায় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বুধবার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের আলমগীর হোসেন ও নাচনাপাড়া ইউনিয়নের ফরিদ মিয়া ও বৃহস্পতিবার রায়হানপুর ইউনিয়নের মাইনুল ইসলামের নির্বাচনী পথসভায় তাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। এসময়ে তাদের সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রিপন , সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান জুয়েল, কালমেঘা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম নাসির, আকন মোহাম্মদ শহীদ, গোলাম কিবরিয়া পিয়ার জহির আহমেদ সিমু, ফাতিমা পারভিন, এনামুল হোসাইন প্রমুখ।
এমপি তনয়া হাচছানা নাদিরা সবুর বলেন, শেষ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় প্রতিনিধিদের বিকল্প নেই। ইউনিয়ন পর্যায়ে উন্নয়নের জন্য নৌকা মার্কায় প্রার্থীদের ভোট দিতে তিনি ভোটারদের কাছে আহ্বান জানান।
কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বাবু সুভাষ চন্দ্র হালদার জানান, তৃণমূল পর্যায়ে যাদের জনসমর্থন রয়েছে তাদের কেই আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে অনেক বিজয়ী চেয়ারমান বাদ পড়েছে। যারা মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে অতি শীঘ্রই কেন্দ্রীয়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সে ক্ষেত্রে এলাকার উন্নয়ন বজায় রাখতে নৌকা মার্কার প্রার্থী কে চেয়ারম্যান বানাতেও জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন।
ভোটের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে। এবারের এই উপজেলার তিন ইউনিয়ন নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী একজন ও বিএনপির সাবেক উপজেলা সভাপতি সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।