ঢাকা ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, বাকিদের কথা ব্যক্তিগত সারাদেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি মডেল উদ্ভাবন করেছেন কাজী আবেদ হোসেন নিখোঁজ সংবাদ  ঠাকুরগাঁওয়ে নাগরিক প্লাটফর্মের ত্রৈমাসিক সভা ও জেলা কমিটি পুনর্গঠন মানুষের তৈরি মতবাদ আল্লাহর আইনের সাথে চ্যালেঞ্জ করার শামিল – ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগ নেতার দখলের চেষ্টা।এই বিষয়ে সময়ের কন্ঠস্বরে নিউজ প্রকাশের পর এসিল্যান্ডের নিষেধাজ্ঞা ফার্মেসী ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (সমগ্র বাংলাদেশ) পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখা কমিটির সকলকে সনদ প্রদান ও আলোচনা সভা ২৫২ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রামে এই প্রথম নারী ডিসি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের পদায়ন ফরিদা খানম

টেকসই উন্নয়নে শোভন কাজ-শোভন মজুরীর বিকল্প নাই

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১০:২০:৪১ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৮ অক্টোবর ২০২১
  • / ২১৭ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

গত ৭ অক্টোবর-২০২১ইং, রোজ: বৃহস্পতিবার সকাল: ১০:৩০ঘটিকায় গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিশ্ব শোভন কর্মদিবস-২০২১ইং উপলক্ষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) শোভন কাজে রধারণাটিকে ২০০৮ সালের বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা-পরবর্তী সময়ে সর্বপ্রথম তাদের আলোচ্য বিষয় সূচিতে নিয়ে আসে। পরে জাতিসংঘ ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাপী গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে ৮ নম্বর লক্ষ্যে নির্দিষ্টভাবে সবার জন্য শোভন কাজ নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে। তাই এটি শ্রমিকের কল্যাণে সর্বজন স্বীকৃত একটি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য মানদন্ড।

গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম এর সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, যুগ্ম সম্পাদক খাদিজা রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃফরিদ উদ্দীন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রুজিনা আক্তার সুমি, দপ্তর সম্পাদক রাবেয়া ইসলাম,সদস্য নুরজাহান, সালমা, জোসনা, আমেনা, লাকী, শাহীনুর, মোঃ তাহেরুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তাগন বলেন বাংলাদেশ ২০৩০ সালের বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়নের একটি অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র। অতিশিগগিরই বাংলাদেশ যোগ দিচ্ছে মধ্যম আয়ের দেশের সারিতে। এসব দলিল, এজেন্ডা, কর্মসূচির সব কটিতেই শ্রমজীবী মানুষের জীবন মানউন্নয়ন, শোভন কাজ নিশ্চিত করা ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই আমরা ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে শ্রমজীবী মানুষের জীবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ও সংবিধানের নির্দেশনার পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলন দেখতে চাই। বাস্তবায়ন চাই রাষ্ট্রের সব নীতি ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের।

আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএলওর মতে, শোভন কাজ হলো এমন উৎপাদনশীল ও মানসম্মত কাজ, যে কাজে স্বাধীনতা, সমতা, নিরাপত্তা ও মানবিক মর্যাদার শর্তগুলো নিশ্চিত করার বিধান রয়েছে। শোভন কাজ বিষয়টি এমন কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা নিশ্চিত করবে উৎপাদনশীলতা, সুষ্ঠু আয়, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবারের জন্য সামাজিক সুরক্ষা, ব্যক্তিগত বিকাশের জন্য সুব্যবস্থা ও সামাজিকীকরণ, বাক্স্বাধীনতা, সংগঠিত হওয়া এবং তাদের জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে এমন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ এবং সব নারী ও পুরুষের জন্য সমানসুযোগ ও চিকিৎসাসেবা।

শোভন কাজ নিশ্চিত করণে এর চারটি স্তম্ভ বা ভিত্তি ১. উৎপাদনমুখী কর্ম ও টেকসই ব্যবসা, ২.যৌথ দরকষাকসিসহ সোস্যাল ডায়ালগকে উৎসাহিতকরা, ৩.সবার জন্য সামাজিক সুরক্ষা বা সামাজিক নিরাপত্তা, ৪. কর্মক্ষেত্রে মানসম্মত ও মৌলিক অধিকার। ১১টি আনুষঙ্গিক উপাদানের বাস্তবায়ন অপরিহার্য আনুষঙ্গিক উপাদান গুলোহলো ১. পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ, ২. ন্যায্য ও সম্মানজনক উপার্জন এবং উৎপাদনশীল কাজ, ৩. শোভন কর্মঘণ্টা, ৪.শোভন মজুরী, ৫.শিশুশ্রম নিরসন, ৬. কর্ম, পরিবার এবং ব্যক্তিগত জীবনের সমন্বয়, ৭.কাজের স্থায়িত্ব এবং নিরাপত্তা, ৮. কর্মসংস্থানে সবার প্রতি সমান সুযোগ এবং আচরণ, ৯.নিরাপদ কর্মপরিবেশ, ১০. সামাজিক নিরাপত্তা এবং১১. সামাজিক সংলাপ, কর্মমালিক ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব।

বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। এরমধ্যে শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ কর্মসংস্থানের সুযোগ সাধারণত অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে (ইনফরমাল সেক্টর) সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই বিশাল জনশক্তির অধিকাংশই প্রয়োজনীয় দক্ষতা ছাড়া ওই খাতভিত্তিক কাজে নিয়োজিত হয়। এই খাতে চাকরি গ্রহণকারী এবং প্রদানকারী উভয়েরই আইন, নিয়ন্ত্রণমূলক কাঠামোর প্রতি আনুগত্য, শ্রম-অধিকার ও শোভন কাজের ক্ষেত্র সম্পর্কে অসচেতন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শোভন কর্ম পরিবেশের বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণে দেখা যায়, শ্রম শক্তির ৮৬ দশমিক ২ শতাংশই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে, যার একটি বড় অংশই (প্রায় ৯০ শতাংশ) তরুণ বা যুবক বয়সী শ্রমিক। মূলত অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মে নিয়োজিত হওয়াতেই তারুণ্য নির্ভর এই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা শোভন কর্মপরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী প্রেসক্লাবের কদম পোয়ারার মোড় হয়ে তোপখানা রোড প্রদক্ষিন করে।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

টেকসই উন্নয়নে শোভন কাজ-শোভন মজুরীর বিকল্প নাই

আপডেট টাইম : ১০:২০:৪১ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ৮ অক্টোবর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

গত ৭ অক্টোবর-২০২১ইং, রোজ: বৃহস্পতিবার সকাল: ১০:৩০ঘটিকায় গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিশ্ব শোভন কর্মদিবস-২০২১ইং উপলক্ষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) শোভন কাজে রধারণাটিকে ২০০৮ সালের বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা-পরবর্তী সময়ে সর্বপ্রথম তাদের আলোচ্য বিষয় সূচিতে নিয়ে আসে। পরে জাতিসংঘ ২০১৫ সালে বিশ্বব্যাপী গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে ৮ নম্বর লক্ষ্যে নির্দিষ্টভাবে সবার জন্য শোভন কাজ নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে। তাই এটি শ্রমিকের কল্যাণে সর্বজন স্বীকৃত একটি আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য মানদন্ড।

গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সুলতানা বেগম এর সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, যুগ্ম সম্পাদক খাদিজা রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃফরিদ উদ্দীন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রুজিনা আক্তার সুমি, দপ্তর সম্পাদক রাবেয়া ইসলাম,সদস্য নুরজাহান, সালমা, জোসনা, আমেনা, লাকী, শাহীনুর, মোঃ তাহেরুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তাগন বলেন বাংলাদেশ ২০৩০ সালের বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়নের একটি অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্র। অতিশিগগিরই বাংলাদেশ যোগ দিচ্ছে মধ্যম আয়ের দেশের সারিতে। এসব দলিল, এজেন্ডা, কর্মসূচির সব কটিতেই শ্রমজীবী মানুষের জীবন মানউন্নয়ন, শোভন কাজ নিশ্চিত করা ও নিরাপত্তা বিধানের জন্য রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাই আমরা ২০২১ সালে আমাদের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে শ্রমজীবী মানুষের জীবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ও সংবিধানের নির্দেশনার পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলন দেখতে চাই। বাস্তবায়ন চাই রাষ্ট্রের সব নীতি ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের।

আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএলওর মতে, শোভন কাজ হলো এমন উৎপাদনশীল ও মানসম্মত কাজ, যে কাজে স্বাধীনতা, সমতা, নিরাপত্তা ও মানবিক মর্যাদার শর্তগুলো নিশ্চিত করার বিধান রয়েছে। শোভন কাজ বিষয়টি এমন কাজের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা নিশ্চিত করবে উৎপাদনশীলতা, সুষ্ঠু আয়, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবারের জন্য সামাজিক সুরক্ষা, ব্যক্তিগত বিকাশের জন্য সুব্যবস্থা ও সামাজিকীকরণ, বাক্স্বাধীনতা, সংগঠিত হওয়া এবং তাদের জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে এমন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ এবং সব নারী ও পুরুষের জন্য সমানসুযোগ ও চিকিৎসাসেবা।

শোভন কাজ নিশ্চিত করণে এর চারটি স্তম্ভ বা ভিত্তি ১. উৎপাদনমুখী কর্ম ও টেকসই ব্যবসা, ২.যৌথ দরকষাকসিসহ সোস্যাল ডায়ালগকে উৎসাহিতকরা, ৩.সবার জন্য সামাজিক সুরক্ষা বা সামাজিক নিরাপত্তা, ৪. কর্মক্ষেত্রে মানসম্মত ও মৌলিক অধিকার। ১১টি আনুষঙ্গিক উপাদানের বাস্তবায়ন অপরিহার্য আনুষঙ্গিক উপাদান গুলোহলো ১. পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ, ২. ন্যায্য ও সম্মানজনক উপার্জন এবং উৎপাদনশীল কাজ, ৩. শোভন কর্মঘণ্টা, ৪.শোভন মজুরী, ৫.শিশুশ্রম নিরসন, ৬. কর্ম, পরিবার এবং ব্যক্তিগত জীবনের সমন্বয়, ৭.কাজের স্থায়িত্ব এবং নিরাপত্তা, ৮. কর্মসংস্থানে সবার প্রতি সমান সুযোগ এবং আচরণ, ৯.নিরাপদ কর্মপরিবেশ, ১০. সামাজিক নিরাপত্তা এবং১১. সামাজিক সংলাপ, কর্মমালিক ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব।

বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। এরমধ্যে শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ কর্মসংস্থানের সুযোগ সাধারণত অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে (ইনফরমাল সেক্টর) সৃষ্টি হয়ে থাকে। এই বিশাল জনশক্তির অধিকাংশই প্রয়োজনীয় দক্ষতা ছাড়া ওই খাতভিত্তিক কাজে নিয়োজিত হয়। এই খাতে চাকরি গ্রহণকারী এবং প্রদানকারী উভয়েরই আইন, নিয়ন্ত্রণমূলক কাঠামোর প্রতি আনুগত্য, শ্রম-অধিকার ও শোভন কাজের ক্ষেত্র সম্পর্কে অসচেতন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শোভন কর্ম পরিবেশের বর্তমান অবস্থা বিশ্লেষণে দেখা যায়, শ্রম শক্তির ৮৬ দশমিক ২ শতাংশই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করে, যার একটি বড় অংশই (প্রায় ৯০ শতাংশ) তরুণ বা যুবক বয়সী শ্রমিক। মূলত অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মে নিয়োজিত হওয়াতেই তারুণ্য নির্ভর এই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা শোভন কর্মপরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী প্রেসক্লাবের কদম পোয়ারার মোড় হয়ে তোপখানা রোড প্রদক্ষিন করে।