ঢাকা ০৪:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা রাজধানী খিলগাঁও, ঈদুল আযহারের তৃতীয় দিনে ডিপুর পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সাথে প্রেরণামূলক দেখা সাক্ষাৎ। কাউন্সিলর পতপ্রার্থী বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলস, গাড়িতে আগুন বিক্ষোভ চলাকালে গাড়িতে আগুন ২ মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা নির্বাচনে ভিন্ন কোনো দেশের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: জামায়াত আমির এইবারে ঈদুল আযহারঃকুরবানির পশু চামড়া ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত আশুলিয়ার জিরাবো বাজারে কাপড়ের দোকানে আগুন ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ট্রাম্প, নতুন দল করছেন মাস্ক! ৩৫ হাজার মানুষের পরিশ্রমে পরিচ্ছন্ন সব সিটি কর্পোরেশন: আসিফ মাহমুদ ঈদের দ্বিতীয় দিনে ৭৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল

শার্শায় সেই চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন এক প্রসূতি

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৫:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০২১
  • / ৩০০ ১৫০.০০০ বার পাঠক
খোরশেদ আলম, যশোর প্রতিনিধি।।যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন বুরুজবাগান জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার এবিএম আক্তার মারুফের চিকিৎসা অবহেলার কারনে উপজেলার হাড়িখালি গ্রামের ট্রলিচালক নবিছদ্দি মোড়লের স্ত্রী শাহানারা খাতুন (২৭) মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন এমনই অভিযোগ করেছে তার স্বজনরা।
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গোপন রাখতে ক্ষতিপূরনের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান ভুক্তভুগি পরিবার।
শাহানারার পরিবার সূত্রে জানা গেছে,গত ৮ই সেপ্টেম্বর নাভারন বুরুজবাগান জেনারেল হাসপাতালে সিজারের জন্য ভর্তি করানো হয়।রোগীকে সিজারিয়ান করান ডাক্তার এবিএম আক্তার মারুফ। অপারেশন শেষ হতেই ডাক্তার বেরিয়ে গেলে নার্স’রা পরিস্কার করে সিলাই দিয়ে রোগী বের করে আনে। অপারেশনের এক সপ্তাহ পার হতে না হতেই রোগীর পেট ফুলতে থাকে।আমরা ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তারা বলেন গ্যাসের সমস্যা। পরে সেখান থেকে আমাদের বের করে দেয়। আমরা যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে সেখান থেকে ফেরত দেয়।পরে খুলনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার বলে রোগী বাঁচবে না। তার পরে ডাক্তারের হাত পা ধরে চিকিৎসার জন্য অনুরোধ করলে রোগীর চিকিৎসা করায়।সেখানকার ডাক্তার তার সন্তানের নাড়ি কেটে বাদ দিয়ে দেয়, এরপর প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হতে থাকে। রোগীর অবস্থা এতটাই খারাপ যে।অপারেশনের আগে ও পরে সাত ব্যাগ রক্ত তার শরীরে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
রোগীর ভাই জাহাঙ্গীর বলেন, আমার বোনের এমন অবস্থা দেখে আমি ক্লিনিকের পরিচালক বাবলুর কাছে গিয়ে সব খুলে বললে, আমাদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থ দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বলে। কিন্তু আমার বোন-জামাই বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি।
এবিষয়ে ডাক্তার এবিএম আক্তার মারুফের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি সিজার করেছি কিনা আমার জানা নেই। আমার খাতা দেখতে হবে, না দেখে বলা সম্ভব হবে না।
পরে ক্লিনিক পরিচালক বাবলুর সাথে ফোনে কথা বললে তিনি ও বলেন, আমি ফোনে এভাবে বক্তব্য দেবো না।
এ বিষয়ে যশোর সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহিনের সাথে কথা বললে তিনি ও সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শার্শায় সেই চিকিৎসকের অবহেলায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন এক প্রসূতি

আপডেট টাইম : ০৬:৪৫:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর ২০২১
খোরশেদ আলম, যশোর প্রতিনিধি।।যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন বুরুজবাগান জেনারেল হাসপাতালের ডাক্তার এবিএম আক্তার মারুফের চিকিৎসা অবহেলার কারনে উপজেলার হাড়িখালি গ্রামের ট্রলিচালক নবিছদ্দি মোড়লের স্ত্রী শাহানারা খাতুন (২৭) মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন এমনই অভিযোগ করেছে তার স্বজনরা।
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গোপন রাখতে ক্ষতিপূরনের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান ভুক্তভুগি পরিবার।
শাহানারার পরিবার সূত্রে জানা গেছে,গত ৮ই সেপ্টেম্বর নাভারন বুরুজবাগান জেনারেল হাসপাতালে সিজারের জন্য ভর্তি করানো হয়।রোগীকে সিজারিয়ান করান ডাক্তার এবিএম আক্তার মারুফ। অপারেশন শেষ হতেই ডাক্তার বেরিয়ে গেলে নার্স’রা পরিস্কার করে সিলাই দিয়ে রোগী বের করে আনে। অপারেশনের এক সপ্তাহ পার হতে না হতেই রোগীর পেট ফুলতে থাকে।আমরা ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে তারা বলেন গ্যাসের সমস্যা। পরে সেখান থেকে আমাদের বের করে দেয়। আমরা যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে সেখান থেকে ফেরত দেয়।পরে খুলনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার বলে রোগী বাঁচবে না। তার পরে ডাক্তারের হাত পা ধরে চিকিৎসার জন্য অনুরোধ করলে রোগীর চিকিৎসা করায়।সেখানকার ডাক্তার তার সন্তানের নাড়ি কেটে বাদ দিয়ে দেয়, এরপর প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হতে থাকে। রোগীর অবস্থা এতটাই খারাপ যে।অপারেশনের আগে ও পরে সাত ব্যাগ রক্ত তার শরীরে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে।
রোগীর ভাই জাহাঙ্গীর বলেন, আমার বোনের এমন অবস্থা দেখে আমি ক্লিনিকের পরিচালক বাবলুর কাছে গিয়ে সব খুলে বললে, আমাদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে অর্থ দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বলে। কিন্তু আমার বোন-জামাই বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি।
এবিষয়ে ডাক্তার এবিএম আক্তার মারুফের সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি সিজার করেছি কিনা আমার জানা নেই। আমার খাতা দেখতে হবে, না দেখে বলা সম্ভব হবে না।
পরে ক্লিনিক পরিচালক বাবলুর সাথে ফোনে কথা বললে তিনি ও বলেন, আমি ফোনে এভাবে বক্তব্য দেবো না।
এ বিষয়ে যশোর সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহিনের সাথে কথা বললে তিনি ও সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।