আশুলিয়ায় ভাড়াটিয়া কতৃক বাড়িওয়ালা মহর আলীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ
- আপডেট টাইম : ০৩:২৩:০০ অপরাহ্ণ, শনিবার, ২ অক্টোবর ২০২১
- / ২০৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
মোঃ আকরাম হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি।।
আশুলিয়া থানার বুড়ির বাজার সংলগ্ন বাড়িওয়ালা মহর আলীর বিরুদ্ধে,পাওনা টাকা অনাদায়ে অভিযোগ দায়ের করেন, রঙপুর জেলার শাস্ত্রী পাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম,অভিযোগে উল্লেখ করেন বিগত তিন বৎসর আগে বাড়ি মালীক মহর আলীর সাথে মৌখিক চুক্তিতে আবদ্ধ হয়,মহর আলীর বাড়ির ম্যানেজার হিসাবে থাকতে হবে,বিনিময়ে পাবেন একটা বসত রুম একটা দোকানের জন্য প্লেজ পয়েন্টে একটা রুম,সেই মোতাবেক শফিকুল ইসলাম মহর আলীর বাড়িতে থাকিয়া বাড়ির সকল বিষয়ে দেখভাল করেন,এবং নিজে একটি দোকান নিয়ে মুদি ব্যবসা পরিচালনা করেন,কিছুদিন যেতে না যেতেই মহর আলীর টাকার প্রয়োজন হলে শফিকুল ও তার স্ত্রীকে দিয়ে গ্রামীন ব্যাংক থেকে ১ লক্ষ টাকা লোন উঠিয়ে নিজে গ্রহন করেন,সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করেন শফিকুল,পাওনা থাকে মহর আলীর নিকটে ১ লক্ষ টাকা,লোন পরিষদের আগেই মহর আলী বলেন তোমরা আমাকে এবার দেড় লক্ষ টাকা উঠিয়ে দাও তারা নিজেদের ক্যাশ করার জন্য আর্থিক বাড়ানোর জন্য মহর আলীর প্রস্তাবে রাজি হইয়া দ্বিতীয় বার লোন তুলে দেন ১৫০ হাজার টাকা ও মুদী দোকান থেকে বাকি নিতে দিতে ৩৮ হাজার টাকা বকেয়া পড়ে,সর্বমোট ২ লক্ষ ৮৮ হাকার টাকা মহর আলীর নিকটে পাওনা হয় বাড়ির ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম,মহর আলী নতুন কৌশল অবলম্বন করে ৩ লক্ষ টাকা লোন উঠিয়ে নিতে শফিকুল ও তার স্ত্রীকে বললে তার সরাসরি বাড়িওয়ালা মহর আলীর প্রস্তাব নাখোজ করেন।অমনি মহর আলী ভিন্ন পথ অবলম্বন করে শফিকুল কে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র যেতে বলেন,তাদের জমানো টাকা চাহিলে মহর আলী বলেন তারা কোনো টাকা পাইবেনা,উক্ত বিষয়ে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করলে পার্শবর্তী ভাড়াটিয়া খালেদা আক্তার ইতি বলেন, আমি আগে ওই বাড়িতে ভাড়ায় ছিলাম তো বিষয়টি আমি জানি, মহর আলী নানা টাকা নিয়েছেন ওনি টাকা না দেওয়ার জন্য মিথ্যা,বলছেন,শফিকুল ইসলাম বলেন আমরা টাকা পাইবো তিনি ধনাঢ্য ব্যাক্তি কিছু বললে আমাকে মেরে ফেলতেও পারে,এলাকার একাধিক ব্যাক্তির নিকটে জানতে চাইলে তারা বলেন মহর আলী বহু ভাড়াটিয়ার নিকট থেকে টাকা উঠিয়ে নিজ কিস্তি চালাচ্ছে এমন কথা জানি বা শুনেছি,বিল্ডিংএর ভাড়াটিয়ারা মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে,তার পরেও বলছে মহর আলীর নিকটে ম্যানেজার শফিকুল টাকা পাবে,গণমাধ্যমকর্মীদের একাধিক ব্যাক্তি পর্যবেক্ষণ করলে অভিযোগের সত্যতা মেলে।ম্যানেজারের স্ত্রী সীমা খাতুন বলেন আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি,আমরা গরিব মানুষ তিল তিল করে জমানো টাকা গুলো ফেরত চাই,বাড়িওয়ালা মহর আলী যদি টাকা না দেয় তাহলে মানবেতর জীবন যাপন করা ছাড়া উপায় থাকবেনা,তাছাড়া আমার স্বামী গার্মেন্টস চাকুরী করে আমি দোকান চালাই বর্তমানে দোকান বাকি আছে প্রায় একলক্ষ পন্চাশ হাজার টাকার মত আমাদের এভাবে তাড়িয়ে দিলে একটি টাকাও দিবেনা কাস্টমারেরা।