ঢাকা ০৫:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
কালিয়াকৈরে ধর্ষণের অভিযোগে বাড়ির মালিক গ্রেফতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত কঠিন সময়ে কীভাবে পাশে ছিলেন স্ত্রী, জানালেন কোহলি ইতালিতে জি৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আলোচনার তালিকায় নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে আরো যা ‘পদক্ষেপ’ নিতে বললেন নূরুল কবির মেগা মানডে’: ৩ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র যাত্রাবাড়ী অর্থের লোভ দেখিয়ে ‘গণঅভ্যুত্থানের’ ব্যর্থ চেষ্টা, নেপথ্যে কারা? ইমরান খানের হাজারো সমর্থক গ্রেপ্তার প্রতারক বাবু যেন কাশিমপুর থানার একচ্ছত্র অধিপতি ১০ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব জব্দ

নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রীর শ্বশুরের ইন্তেকাল

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৭:৩৫:৩২ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৮০ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর শ্বশুর শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আবদুর রশীদ  ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না … রাজিউন)।  তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।  তিনি তিন ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য ভক্ত, স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।

নৌপ্রতিমন্ত্রী জানান, সোমবার রাতে ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান অধ্যক্ষ আবদুর রশীদ। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় দিনাজপুর জেলার বোঁচাগঞ্জ উপজেলার বড়মাঠে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

বেলা ৩টায় বোঁচাগঞ্জ উপজেলার দপচাই গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

অধ্যক্ষ আবদুর রশীদ ১৯৩৬ সালের ১ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি প্রথম বিভাগে মেট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৫৮ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএ পাস করেন। ১৯৬২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স করেন। ওই বছরেই তিনি শিক্ষা আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য কারাবরণ করেন। ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ১৯৬৬ সালে জয়পুরহাট কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। পরে তিনি অলীপুর কলেজ, নওগাঁ কলেজ, ঠাকুরগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ পদে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন আবদুর রশীদ। ১৯৭২ সালে দিনাজপুর জেলা ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরে অর্থাৎ ১৯৯০ সালের পর আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিশ্বাসঘাতকরা সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা হয় অধ্যক্ষ আবদুর রশীদকে।  এ মামলায় তিনি আড়াই বছর কারাগারে ছিলেন।

১৯৮২ সালে বিশেষ বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮৫ সালে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে তিনি বোঁচাগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

১৯৯০ সালে পুনরায় অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। সেখানে ১০ বছর অধ্যক্ষ ছিলেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রীর শ্বশুরের ইন্তেকাল

আপডেট টাইম : ০৭:৩৫:৩২ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর শ্বশুর শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আবদুর রশীদ  ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না … রাজিউন)।  তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।  তিনি তিন ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য ভক্ত, স্বজন ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।

নৌপ্রতিমন্ত্রী জানান, সোমবার রাতে ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান অধ্যক্ষ আবদুর রশীদ। মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় দিনাজপুর জেলার বোঁচাগঞ্জ উপজেলার বড়মাঠে মরহুমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

বেলা ৩টায় বোঁচাগঞ্জ উপজেলার দপচাই গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

অধ্যক্ষ আবদুর রশীদ ১৯৩৬ সালের ১ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি প্রথম বিভাগে মেট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৫৮ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে আইএ পাস করেন। ১৯৬২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স করেন। ওই বছরেই তিনি শিক্ষা আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য কারাবরণ করেন। ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ১৯৬৬ সালে জয়পুরহাট কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন। পরে তিনি অলীপুর কলেজ, নওগাঁ কলেজ, ঠাকুরগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ পদে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন আবদুর রশীদ। ১৯৭২ সালে দিনাজপুর জেলা ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরে অর্থাৎ ১৯৯০ সালের পর আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য হিসেবে কাজ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিশ্বাসঘাতকরা সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করার পর মিথ্যা মামলায় আটকে রাখা হয় অধ্যক্ষ আবদুর রশীদকে।  এ মামলায় তিনি আড়াই বছর কারাগারে ছিলেন।

১৯৮২ সালে বিশেষ বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮৫ সালে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে তিনি বোঁচাগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

১৯৯০ সালে পুনরায় অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। সেখানে ১০ বছর অধ্যক্ষ ছিলেন।