ঢাকা ০৬:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার গন্জেরহাটি গ্রামের সরকারি রাস্তা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রনব বনিকের দখলের চেষ্টা নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত সাংবাদিকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চট্টগ্রামে জনতা ব্যাংক সিবিএ নেতা আফসার আ.লীগের আমলে দাপট দেখিয়ে এখন বিএনপি নিয়োগ, বদলি, চাঁদাবাজি করে কামিয়েছেন টাকা মহারাষ্ট্রে ভূমিধস জয়ের পথে বিজেপি জোট, ঝাড়খণ্ডে ‘ইন্ডিয়া’ পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু জুলাই বিপ্লবে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. বাবুকে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড আজমিরীগঞ্জে  বিয়ের ছয় মাস পর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা রায়পুরে দেশীয় শিল্প ও পণ্য মেলায় ভ্রাম্যমান আদালত, নগদ অর্থদণ্ড কালিয়াকৈরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উঠান বৈঠক ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মোংলায় জলবায়ু ন্যায্যতার গণসংলাপে বক্তারা : সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা দিন

সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়ম ১৫ দিনেই ফাটল

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:৩১:১৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৩৬ ৫০০০.০ বার পাঠক

স্টাফ রিপোর্টার শাহাবুল আলম।।

সদ্য সংস্কার হওয়া সড়কজুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। ওঠে যাচ্ছে পিচঢালাও। সড়কের কোথাও কোথাও আবার ধ্বসও নেমেছে। সড়কের একপাশ রঙ করা হলেও বাকি কাজ বাদ রয়েছে। অথচ তিন কোটি টাকা ব্যায়ে সড়কটির সংস্কার কাজ করা হয়েছে মাত্র ১৫-২০ দিন আগেই।

নাটোরের গুরুদাসপুর-নয়াবাজার সড়কে এমন নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়কটির সংস্কার কাজ করেছে নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সরকার কন্সট্রাকশন। এখন সড়কটির স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, চলাচলের ক্ষেত্রে এই সড়কটি অধিকগুরুত্বপূর্ণ হলেও এটির সংস্কার কাজে বিস্তার অনিয়ম করা হয়েছে। বিকালে গরম করা পিচ, ঢালাই করা হয়েছে ভোর পর্যন্ত। ঠান্ডা পিচ ঠিকমতো সমান্তরাল হয়নি। উপরন্ত ঢালাইয়ের মোটা পাথরগুলো উঠে সড়ক উচুঁ নিচু হতে শুরু করেছে।

এই সড়কের ওপর নির্ভরশীল ভ্যান চালক তাজেম আলী, সিনজি চালক মকলেছসহ অন্তত ১৫ জন অভিযোগ করেন, সদ্য সংস্কার করা সড়কটিতে এখনো রঙ করাই শেষ হয়নি। অথচ ৫ কিলোমিটারের পুরো সড়কই ফেটে গেছে। পিচ ওঠে যাওয়ায় সড়কে অধিক ঝাঁকুনি হচ্ছে। ফাটল ধরা এই সড়কের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এই সড়কটিতে শুধুযে ভ্যান-রিক্সা, সিএনজিই চলে তা নয়। গুরুদাসপুর সদর বাসষ্ট্রান্ড থেকে বনপাড়া হাটিকুমরুল মহাসড়কের সাথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এটি। এই সড়ক দিয়েই উপজেলাতে প্রবেশ করতে হয়। চালকল, চাতাল মিল বেষ্টিত গুরুদাসপুর থেকে প্রতিদিন পন্য বোঝাই শত শত ট্রাক যাতায়াত করে এই সড়কের ওপর দিয়ে। অথচ সড়কটির সংস্কার কাজ করা হয়েছে অত্যন্ত নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, সড়কটিতে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। সেসময় ঠিকমতো পানি দেওয়া হয়নি। রোলারও করা হয়নি। আবার রাতের অন্ধোকারে তরিঘরি করে ঠান্ডা পিচ দিয়ে ঢালাই করা হয়েছে। সড়কটি এখন ভাঙ্গতে শুরু করেছে। পিচঢালার পাথরও উঠে যাচ্চে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির কাজে এমন বিস্তার অনিয়ম দুঃখজনক।

গুরুদাসপুর উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্র বলছে, গুরুদাসপুর-নয়াবাজারের ৫ কিলোমিটারের এই সড়কটির পূর্ণ সংস্কারের জন্য ব্যায় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৪ লাখ টাকা।

সরেজমিনে সড়কটিতে গিয়ে দেখা যায়, পৌর সদরের বাসষ্ট্রান্ডের ৫শ মিটার সড়কের মধ্য একাধিক স্থানে ফাটল ধরেছে। ফিনিশিং ভালো না হওয়ায় সড়কের পিচঢালা পাথর উঠে যাচ্ছে। তাছাড়া পৌর সদরের অদূরে ব্রিজ এলাকার একাধিক স্থানে ফাটল ধরেছে। এমন নাজুক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পুরো সড়কজুড়েই।

মেসার্স সরকার কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী সুজিত সরকার জানান, সদ্য নির্মীত সড়কে ফাটল ধরার কথা নয়। ফাটলের ব্যপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা করা হবে।
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রকৌশলি মো. মিলন হোসেন জানান, সড়কে ফাটলের বিষয়টি তার জানা নেই। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়ম ১৫ দিনেই ফাটল

আপডেট টাইম : ১২:৩১:১৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার শাহাবুল আলম।।

সদ্য সংস্কার হওয়া সড়কজুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। ওঠে যাচ্ছে পিচঢালাও। সড়কের কোথাও কোথাও আবার ধ্বসও নেমেছে। সড়কের একপাশ রঙ করা হলেও বাকি কাজ বাদ রয়েছে। অথচ তিন কোটি টাকা ব্যায়ে সড়কটির সংস্কার কাজ করা হয়েছে মাত্র ১৫-২০ দিন আগেই।

নাটোরের গুরুদাসপুর-নয়াবাজার সড়কে এমন নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়কটির সংস্কার কাজ করেছে নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সরকার কন্সট্রাকশন। এখন সড়কটির স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, চলাচলের ক্ষেত্রে এই সড়কটি অধিকগুরুত্বপূর্ণ হলেও এটির সংস্কার কাজে বিস্তার অনিয়ম করা হয়েছে। বিকালে গরম করা পিচ, ঢালাই করা হয়েছে ভোর পর্যন্ত। ঠান্ডা পিচ ঠিকমতো সমান্তরাল হয়নি। উপরন্ত ঢালাইয়ের মোটা পাথরগুলো উঠে সড়ক উচুঁ নিচু হতে শুরু করেছে।

এই সড়কের ওপর নির্ভরশীল ভ্যান চালক তাজেম আলী, সিনজি চালক মকলেছসহ অন্তত ১৫ জন অভিযোগ করেন, সদ্য সংস্কার করা সড়কটিতে এখনো রঙ করাই শেষ হয়নি। অথচ ৫ কিলোমিটারের পুরো সড়কই ফেটে গেছে। পিচ ওঠে যাওয়ায় সড়কে অধিক ঝাঁকুনি হচ্ছে। ফাটল ধরা এই সড়কের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এই সড়কটিতে শুধুযে ভ্যান-রিক্সা, সিএনজিই চলে তা নয়। গুরুদাসপুর সদর বাসষ্ট্রান্ড থেকে বনপাড়া হাটিকুমরুল মহাসড়কের সাথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এটি। এই সড়ক দিয়েই উপজেলাতে প্রবেশ করতে হয়। চালকল, চাতাল মিল বেষ্টিত গুরুদাসপুর থেকে প্রতিদিন পন্য বোঝাই শত শত ট্রাক যাতায়াত করে এই সড়কের ওপর দিয়ে। অথচ সড়কটির সংস্কার কাজ করা হয়েছে অত্যন্ত নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, সড়কটিতে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। সেসময় ঠিকমতো পানি দেওয়া হয়নি। রোলারও করা হয়নি। আবার রাতের অন্ধোকারে তরিঘরি করে ঠান্ডা পিচ দিয়ে ঢালাই করা হয়েছে। সড়কটি এখন ভাঙ্গতে শুরু করেছে। পিচঢালার পাথরও উঠে যাচ্চে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির কাজে এমন বিস্তার অনিয়ম দুঃখজনক।

গুরুদাসপুর উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্র বলছে, গুরুদাসপুর-নয়াবাজারের ৫ কিলোমিটারের এই সড়কটির পূর্ণ সংস্কারের জন্য ব্যায় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৪ লাখ টাকা।

সরেজমিনে সড়কটিতে গিয়ে দেখা যায়, পৌর সদরের বাসষ্ট্রান্ডের ৫শ মিটার সড়কের মধ্য একাধিক স্থানে ফাটল ধরেছে। ফিনিশিং ভালো না হওয়ায় সড়কের পিচঢালা পাথর উঠে যাচ্ছে। তাছাড়া পৌর সদরের অদূরে ব্রিজ এলাকার একাধিক স্থানে ফাটল ধরেছে। এমন নাজুক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পুরো সড়কজুড়েই।

মেসার্স সরকার কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী সুজিত সরকার জানান, সদ্য নির্মীত সড়কে ফাটল ধরার কথা নয়। ফাটলের ব্যপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা করা হবে।
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রকৌশলি মো. মিলন হোসেন জানান, সড়কে ফাটলের বিষয়টি তার জানা নেই। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে