ঢাকা ০২:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালপুরে পাট চাষে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নতুন পরিবেশবান্ধব আসবাবপত্র তৈরি হচ্ছে পরিত্যক্ত সুপারির খোলসে পার্বতীপুরে সেচ মৌসুম গভীর নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, বিপাকে কৃষকরা মোংলায় ফ্যামিলি সাইকেল র‍্যালি নরসিংদীতে বজ্রপাতের পৃথক ঘটনায় মা-ছেলেসহ ৪ জনের মৃত্যু জামালপুরে ধানের বাজার মধ্যস্বত্বভোগীরদের দখলে রানীশংকৈলে জিপিএ—৫ পাওয়া ৪ শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণের বাধা অর্থিক সংকট কালিয়াকৈরে এক নারী মাদক ব্যবসায়ী হেরোইনসহ গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উৎযাপন উপলক্ষে সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হারানো টাকা মালিকের হাতে ফেরত দিয়ে দিষ্টান্ত স্হাপন করলো পুলিশ

সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়ম ১৫ দিনেই ফাটল

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ১২:৩১:১৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৯৮ ০.০০০ বার পাঠক

স্টাফ রিপোর্টার শাহাবুল আলম।।

সদ্য সংস্কার হওয়া সড়কজুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। ওঠে যাচ্ছে পিচঢালাও। সড়কের কোথাও কোথাও আবার ধ্বসও নেমেছে। সড়কের একপাশ রঙ করা হলেও বাকি কাজ বাদ রয়েছে। অথচ তিন কোটি টাকা ব্যায়ে সড়কটির সংস্কার কাজ করা হয়েছে মাত্র ১৫-২০ দিন আগেই।

নাটোরের গুরুদাসপুর-নয়াবাজার সড়কে এমন নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়কটির সংস্কার কাজ করেছে নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সরকার কন্সট্রাকশন। এখন সড়কটির স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, চলাচলের ক্ষেত্রে এই সড়কটি অধিকগুরুত্বপূর্ণ হলেও এটির সংস্কার কাজে বিস্তার অনিয়ম করা হয়েছে। বিকালে গরম করা পিচ, ঢালাই করা হয়েছে ভোর পর্যন্ত। ঠান্ডা পিচ ঠিকমতো সমান্তরাল হয়নি। উপরন্ত ঢালাইয়ের মোটা পাথরগুলো উঠে সড়ক উচুঁ নিচু হতে শুরু করেছে।

এই সড়কের ওপর নির্ভরশীল ভ্যান চালক তাজেম আলী, সিনজি চালক মকলেছসহ অন্তত ১৫ জন অভিযোগ করেন, সদ্য সংস্কার করা সড়কটিতে এখনো রঙ করাই শেষ হয়নি। অথচ ৫ কিলোমিটারের পুরো সড়কই ফেটে গেছে। পিচ ওঠে যাওয়ায় সড়কে অধিক ঝাঁকুনি হচ্ছে। ফাটল ধরা এই সড়কের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এই সড়কটিতে শুধুযে ভ্যান-রিক্সা, সিএনজিই চলে তা নয়। গুরুদাসপুর সদর বাসষ্ট্রান্ড থেকে বনপাড়া হাটিকুমরুল মহাসড়কের সাথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এটি। এই সড়ক দিয়েই উপজেলাতে প্রবেশ করতে হয়। চালকল, চাতাল মিল বেষ্টিত গুরুদাসপুর থেকে প্রতিদিন পন্য বোঝাই শত শত ট্রাক যাতায়াত করে এই সড়কের ওপর দিয়ে। অথচ সড়কটির সংস্কার কাজ করা হয়েছে অত্যন্ত নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, সড়কটিতে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। সেসময় ঠিকমতো পানি দেওয়া হয়নি। রোলারও করা হয়নি। আবার রাতের অন্ধোকারে তরিঘরি করে ঠান্ডা পিচ দিয়ে ঢালাই করা হয়েছে। সড়কটি এখন ভাঙ্গতে শুরু করেছে। পিচঢালার পাথরও উঠে যাচ্চে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির কাজে এমন বিস্তার অনিয়ম দুঃখজনক।

গুরুদাসপুর উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্র বলছে, গুরুদাসপুর-নয়াবাজারের ৫ কিলোমিটারের এই সড়কটির পূর্ণ সংস্কারের জন্য ব্যায় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৪ লাখ টাকা।

সরেজমিনে সড়কটিতে গিয়ে দেখা যায়, পৌর সদরের বাসষ্ট্রান্ডের ৫শ মিটার সড়কের মধ্য একাধিক স্থানে ফাটল ধরেছে। ফিনিশিং ভালো না হওয়ায় সড়কের পিচঢালা পাথর উঠে যাচ্ছে। তাছাড়া পৌর সদরের অদূরে ব্রিজ এলাকার একাধিক স্থানে ফাটল ধরেছে। এমন নাজুক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পুরো সড়কজুড়েই।

মেসার্স সরকার কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী সুজিত সরকার জানান, সদ্য নির্মীত সড়কে ফাটল ধরার কথা নয়। ফাটলের ব্যপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা করা হবে।
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রকৌশলি মো. মিলন হোসেন জানান, সড়কে ফাটলের বিষয়টি তার জানা নেই। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুরে পাট চাষে হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ

সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়ম ১৫ দিনেই ফাটল

আপডেট টাইম : ১২:৩১:১৯ অপরাহ্ণ, সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার শাহাবুল আলম।।

সদ্য সংস্কার হওয়া সড়কজুড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে। ওঠে যাচ্ছে পিচঢালাও। সড়কের কোথাও কোথাও আবার ধ্বসও নেমেছে। সড়কের একপাশ রঙ করা হলেও বাকি কাজ বাদ রয়েছে। অথচ তিন কোটি টাকা ব্যায়ে সড়কটির সংস্কার কাজ করা হয়েছে মাত্র ১৫-২০ দিন আগেই।

নাটোরের গুরুদাসপুর-নয়াবাজার সড়কে এমন নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই সড়কটির সংস্কার কাজ করেছে নাটোরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সরকার কন্সট্রাকশন। এখন সড়কটির স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, চলাচলের ক্ষেত্রে এই সড়কটি অধিকগুরুত্বপূর্ণ হলেও এটির সংস্কার কাজে বিস্তার অনিয়ম করা হয়েছে। বিকালে গরম করা পিচ, ঢালাই করা হয়েছে ভোর পর্যন্ত। ঠান্ডা পিচ ঠিকমতো সমান্তরাল হয়নি। উপরন্ত ঢালাইয়ের মোটা পাথরগুলো উঠে সড়ক উচুঁ নিচু হতে শুরু করেছে।

এই সড়কের ওপর নির্ভরশীল ভ্যান চালক তাজেম আলী, সিনজি চালক মকলেছসহ অন্তত ১৫ জন অভিযোগ করেন, সদ্য সংস্কার করা সড়কটিতে এখনো রঙ করাই শেষ হয়নি। অথচ ৫ কিলোমিটারের পুরো সড়কই ফেটে গেছে। পিচ ওঠে যাওয়ায় সড়কে অধিক ঝাঁকুনি হচ্ছে। ফাটল ধরা এই সড়কের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এই সড়কটিতে শুধুযে ভ্যান-রিক্সা, সিএনজিই চলে তা নয়। গুরুদাসপুর সদর বাসষ্ট্রান্ড থেকে বনপাড়া হাটিকুমরুল মহাসড়কের সাথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এটি। এই সড়ক দিয়েই উপজেলাতে প্রবেশ করতে হয়। চালকল, চাতাল মিল বেষ্টিত গুরুদাসপুর থেকে প্রতিদিন পন্য বোঝাই শত শত ট্রাক যাতায়াত করে এই সড়কের ওপর দিয়ে। অথচ সড়কটির সংস্কার কাজ করা হয়েছে অত্যন্ত নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, সড়কটিতে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। সেসময় ঠিকমতো পানি দেওয়া হয়নি। রোলারও করা হয়নি। আবার রাতের অন্ধোকারে তরিঘরি করে ঠান্ডা পিচ দিয়ে ঢালাই করা হয়েছে। সড়কটি এখন ভাঙ্গতে শুরু করেছে। পিচঢালার পাথরও উঠে যাচ্চে। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটির কাজে এমন বিস্তার অনিয়ম দুঃখজনক।

গুরুদাসপুর উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্র বলছে, গুরুদাসপুর-নয়াবাজারের ৫ কিলোমিটারের এই সড়কটির পূর্ণ সংস্কারের জন্য ব্যায় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৪ লাখ টাকা।

সরেজমিনে সড়কটিতে গিয়ে দেখা যায়, পৌর সদরের বাসষ্ট্রান্ডের ৫শ মিটার সড়কের মধ্য একাধিক স্থানে ফাটল ধরেছে। ফিনিশিং ভালো না হওয়ায় সড়কের পিচঢালা পাথর উঠে যাচ্ছে। তাছাড়া পৌর সদরের অদূরে ব্রিজ এলাকার একাধিক স্থানে ফাটল ধরেছে। এমন নাজুক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পুরো সড়কজুড়েই।

মেসার্স সরকার কন্সট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী সুজিত সরকার জানান, সদ্য নির্মীত সড়কে ফাটল ধরার কথা নয়। ফাটলের ব্যপারে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা করা হবে।
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রকৌশলি মো. মিলন হোসেন জানান, সড়কে ফাটলের বিষয়টি তার জানা নেই। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে