ঢাকা ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ইবিতে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আনোয়ারা বৈরাগ ইউনিয়নে ডেভ কেয়ার ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিশেষজ্ঞ মেডিক্যাল ক্যাম্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন চট্টগ্রামে ১১৫ তম জব্বারের বলী খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার শরীফ।। বলি খেলা এক ধরনের কুস্তি খেলা যে খেলায় অনেক কুস্তি অংশগ্রহণ করেন জামালপুরে অর্থনৈতিক অঞ্চল সম্ভাবনার নতুন দুয়ার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রুহিয়া আখানগর ইসতিসকার নামাজে বৃষ্টির জন্য চোখের পানি ফেলে দোয়া গরু বহনকারী ভটভটির ধাক্কায় প্রাণ হারালো  দুই যুবক ইবিতে ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য থাকছে না কোন পরিবহন সেবা নবাবগঞ্জ প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকের সঙ্গে ওসির সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় পাকুন্দিয়া উপজেলায় ৪ মামলার পরোয়ানাভূক্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার রাণীশংকৈলে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

বাতের ব্যথা, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করবে হলুদ চা

  • সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:১৭:৫৯ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ১৮৭ ০.০০০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা চা না হলে আমাদের চলেই না। বাঙালিদের কাছে শরীরকে চাঙ্গা, সতেজ ও ফুরফুরে রাখার ওষুধ যেন এক কাপ চা। কমবেশি সবার কাছেই অনেক জনপ্রিয় একটি পানীয় এটি।

চায়ের স্বাদে ভিন্নতা পেতে এতে অনেকেই মেশান আদা, লেবু, তুলসী, পুদিনা, মধুসহ বাহারি সব উপাদান। আর চায়ের স্বাদের ভিন্নতার পাশাপাশি যদি মেলে বাড়তি স্বাস্থ্য উপকার, তা হলে কেমন হয় বলুন তো?

তাই আজ জানুন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলুদ চায়ের বিষয়ে। স্বাদ পরিবর্তনের পাশাপাশি হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতেও অনেক কার্যকরী হবে।  আর এটি বানানো অনেক সহজ। চায়ে হলুদের গুঁড়া বা গরম পানিতে হলুদের গুঁড়া অথবা কুচি করে ১০ মিনিট ফুটিয়ে ছেঁকে নিলেই তৈরি হলুদ চা।

জানুন হলুদ চায়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা—

১. বাতের উপসর্গ কমাতে সহায়তা করে
হলুদ চা পান করলে তা বাতের ব্যথার উপসর্গ কমাত সহায়তা করতে পারে। হলুদে থাকা কারকিউমিন আর্থ্রাইটিস প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে এবং বাতের উপসর্গ কমায়।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
হলুদ চা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকায় এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

৩. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে
হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি কারকিউমিন উপাদান থাকার কারণে এটি শরীরের কোষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়। আর এর ফলে এটি ক্যান্সারের বৃদ্ধি, বিকাশ ও ছড়িয়ে পড়া কমাতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, হলুদে থাকা কারকিউমিন টিউমারের বৃদ্ধি এবং ক্যান্সার কোষের বিস্তারকে কমায়।

৪. লিভারের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে
হলুদ চায়ে থাকা কারকিউমিন লিভারের ক্ষতি, পিত্তথলির পাথর ও লিভারের অবস্থা পরিচালনায় উপকারী ভূমিকা পালন করে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, কারকিউমিন লিভারের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে। এ ছাড়া হজম তরল পিত্তের উত্পাদন বৃদ্ধি করা এবং লিভারের কোষগুলোকে পিত্ত-সম্পর্কিত রাসায়নিকের ক্ষতি থেকে রক্ষা সহায়তা করে এটি।

৫. ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে
অনেক আগে থেকেই হলুদকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রাণী ও মানুষের ওপরে করা বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, কারকিউমিনে সম্পূরক ডায়াবেটিসবিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকে।

৬. ফুসফুসের উপকারী
ফুসফুসের জন্য উপকারী হিসেবে কাজ করে হলুদ চা। এতে থাকা কারকিউমিন উপাদান প্রদাহবিরোধী এবং এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ফুসফুসের ক্ষতিকর লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে।

তথ্যসূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে ডটকম

আরো খবর.......

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ‘এ’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

বাতের ব্যথা, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করবে হলুদ চা

আপডেট টাইম : ০৮:১৭:৫৯ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা চা না হলে আমাদের চলেই না। বাঙালিদের কাছে শরীরকে চাঙ্গা, সতেজ ও ফুরফুরে রাখার ওষুধ যেন এক কাপ চা। কমবেশি সবার কাছেই অনেক জনপ্রিয় একটি পানীয় এটি।

চায়ের স্বাদে ভিন্নতা পেতে এতে অনেকেই মেশান আদা, লেবু, তুলসী, পুদিনা, মধুসহ বাহারি সব উপাদান। আর চায়ের স্বাদের ভিন্নতার পাশাপাশি যদি মেলে বাড়তি স্বাস্থ্য উপকার, তা হলে কেমন হয় বলুন তো?

তাই আজ জানুন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলুদ চায়ের বিষয়ে। স্বাদ পরিবর্তনের পাশাপাশি হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতেও অনেক কার্যকরী হবে।  আর এটি বানানো অনেক সহজ। চায়ে হলুদের গুঁড়া বা গরম পানিতে হলুদের গুঁড়া অথবা কুচি করে ১০ মিনিট ফুটিয়ে ছেঁকে নিলেই তৈরি হলুদ চা।

জানুন হলুদ চায়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা—

১. বাতের উপসর্গ কমাতে সহায়তা করে
হলুদ চা পান করলে তা বাতের ব্যথার উপসর্গ কমাত সহায়তা করতে পারে। হলুদে থাকা কারকিউমিন আর্থ্রাইটিস প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে এবং বাতের উপসর্গ কমায়।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
হলুদ চা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান থাকায় এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

৩. ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে
হলুদে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি কারকিউমিন উপাদান থাকার কারণে এটি শরীরের কোষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়। আর এর ফলে এটি ক্যান্সারের বৃদ্ধি, বিকাশ ও ছড়িয়ে পড়া কমাতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, হলুদে থাকা কারকিউমিন টিউমারের বৃদ্ধি এবং ক্যান্সার কোষের বিস্তারকে কমায়।

৪. লিভারের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে
হলুদ চায়ে থাকা কারকিউমিন লিভারের ক্ষতি, পিত্তথলির পাথর ও লিভারের অবস্থা পরিচালনায় উপকারী ভূমিকা পালন করে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, কারকিউমিন লিভারের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে। এ ছাড়া হজম তরল পিত্তের উত্পাদন বৃদ্ধি করা এবং লিভারের কোষগুলোকে পিত্ত-সম্পর্কিত রাসায়নিকের ক্ষতি থেকে রক্ষা সহায়তা করে এটি।

৫. ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করে
অনেক আগে থেকেই হলুদকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রাণী ও মানুষের ওপরে করা বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, কারকিউমিনে সম্পূরক ডায়াবেটিসবিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকে।

৬. ফুসফুসের উপকারী
ফুসফুসের জন্য উপকারী হিসেবে কাজ করে হলুদ চা। এতে থাকা কারকিউমিন উপাদান প্রদাহবিরোধী এবং এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ফুসফুসের ক্ষতিকর লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে।

তথ্যসূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে ডটকম