ঢাকা ০২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ঢাকা রাজধানী খিলগাঁও, ঈদুল আযহারের তৃতীয় দিনে ডিপুর পরিচ্ছন্ন কর্মীদের সাথে প্রেরণামূলক দেখা সাক্ষাৎ। কাউন্সিলর পতপ্রার্থী বিক্ষোভে উত্তাল লস অ্যাঞ্জেলস, গাড়িতে আগুন বিক্ষোভ চলাকালে গাড়িতে আগুন ২ মেয়েকে বিষ খাইয়ে হত্যার পর বাবার আত্মহত্যার চেষ্টা নির্বাচনে ভিন্ন কোনো দেশের হস্তক্ষেপ কাম্য নয়: জামায়াত আমির এইবারে ঈদুল আযহারঃকুরবানির পশু চামড়া ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত আশুলিয়ার জিরাবো বাজারে কাপড়ের দোকানে আগুন ফিরতি যাত্রায় সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন ট্রাম্প, নতুন দল করছেন মাস্ক! ৩৫ হাজার মানুষের পরিশ্রমে পরিচ্ছন্ন সব সিটি কর্পোরেশন: আসিফ মাহমুদ ঈদের দ্বিতীয় দিনে ৭৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরায়েল

নারী পাচার চক্রের হোতা আজমের জামিন স্থগিতই থাকছে

নিজস্ব সংবাদদাতা:
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৫:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৫৭ ১৫০.০০০ বার পাঠক

আইন আদালত রিপোর্ট।।

দুবাইয়ের হোটেল ব্যবসায়ী আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের হোতা আজম খানকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে মো. আজম খানের জামিন স্থগিতই থাকছে।

আজ রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

আদেশের আগে প্রধান বিচারপতি আসামিপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এরকম পাচারকারীদের ছাড় দেওয়া হলে সমাজ থাকবে না। তিনি বলেন, হোটেলে চাকরি দেওয়ার নামে দুবাই নেওয়া হয়েছে। অথচ তাদের সেখানে নিয়ে চাকরি না দিয়ে কি করা হলো ভাবুনতো?

আদালতে আজম খানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

এর আগে গত ১৯ জুলাই হাইকোর্ট আজম খানকে জামিন দেন। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনে ২৭ জুলাই আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি আজম খানের জামিন স্থগিত করে দেন।

জানা যায়, মো. আজম খান দুবাইয়ে সাত-আট বছর ধরে হোটেল ব্যবসা করে আসছিলেন। সেখানে তিনি চারটি হোটেল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। হোটেল ফরচুন রয়েল, ফরচুন গ্র্যান্ড হোটেল ও সিটি টাওয়ার হোটেল চার-তারকা মানের এবং ফরচুন পার্ল হোটেল তিন-তারকা মানের। এসব হোটেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে তিনি বাংলাদেশ থেকে ৬০-৭০ জন মেয়েকে নিয়ে যান।সেখানে অর্থের বিনিময়ে আগতদের সঙ্গে তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করতেন আজম খান। এটা জানার পর ওই দেশের সরকার তার পাসপোর্ট জব্দ করে দেশ থেকে বহিষ্কার করে। এরপর মো. আজম খান দেশে ফিরে আসেন। ওদিকে ভুক্তভোগী নারীরা দেশে ফিরে তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেন। এরপর পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে গত বছরের ২ জুলাই মানবপাচারের অভিযোগে মামলা করে।মামলার কয়েক দিনের মধ্যেই গত বছর জুলাইয়ে পুলিশ আজম খানকে গ্রেফতার করে। এরপর তিনি ঘটনা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নারী পাচার চক্রের হোতা আজমের জামিন স্থগিতই থাকছে

আপডেট টাইম : ০৯:১৫:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

আইন আদালত রিপোর্ট।।

দুবাইয়ের হোটেল ব্যবসায়ী আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের হোতা আজম খানকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে মো. আজম খানের জামিন স্থগিতই থাকছে।

আজ রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

আদেশের আগে প্রধান বিচারপতি আসামিপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এরকম পাচারকারীদের ছাড় দেওয়া হলে সমাজ থাকবে না। তিনি বলেন, হোটেলে চাকরি দেওয়ার নামে দুবাই নেওয়া হয়েছে। অথচ তাদের সেখানে নিয়ে চাকরি না দিয়ে কি করা হলো ভাবুনতো?

আদালতে আজম খানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

এর আগে গত ১৯ জুলাই হাইকোর্ট আজম খানকে জামিন দেন। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনে ২৭ জুলাই আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি আজম খানের জামিন স্থগিত করে দেন।

জানা যায়, মো. আজম খান দুবাইয়ে সাত-আট বছর ধরে হোটেল ব্যবসা করে আসছিলেন। সেখানে তিনি চারটি হোটেল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। হোটেল ফরচুন রয়েল, ফরচুন গ্র্যান্ড হোটেল ও সিটি টাওয়ার হোটেল চার-তারকা মানের এবং ফরচুন পার্ল হোটেল তিন-তারকা মানের। এসব হোটেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে তিনি বাংলাদেশ থেকে ৬০-৭০ জন মেয়েকে নিয়ে যান।সেখানে অর্থের বিনিময়ে আগতদের সঙ্গে তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করতেন আজম খান। এটা জানার পর ওই দেশের সরকার তার পাসপোর্ট জব্দ করে দেশ থেকে বহিষ্কার করে। এরপর মো. আজম খান দেশে ফিরে আসেন। ওদিকে ভুক্তভোগী নারীরা দেশে ফিরে তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেন। এরপর পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে গত বছরের ২ জুলাই মানবপাচারের অভিযোগে মামলা করে।মামলার কয়েক দিনের মধ্যেই গত বছর জুলাইয়ে পুলিশ আজম খানকে গ্রেফতার করে। এরপর তিনি ঘটনা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।