ঢাকা ০৭:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
চকলেটের লোভ দেখিয়ে কিন্ডার গার্টেনের শিশুদের মাদ্রাসায় উপস্থাপন// ঠাকুরগাঁওয়ে দুদকে ধরা ভুয়া মাদ্রাসা কান্ড পুরোনো চেহারায় ফিরবে আওয়ামী লীগ, তৈরি হচ্ছে মাস্টারপ্ল্যান বিএনপি সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে: সালাহউদ্দিন খিলগাঁওয়ে গৃহবধূ ও তার পরিবারের উপর বর্বর হামলা: প্রাণনাশের হুমকি, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেছেন। বাড়িয়ালা ময়না বেগম নেতৃত্বে  পাসপোর্টে ফিরল ‘এক্সসেপ্ট ইসরাইল’, যা বললেন সাবেক রাষ্ট্রদূত রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ডাক কারিগরি শিক্ষার্থীদের আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা কমিশনের অধিকাংশ প্রস্তাবে একমত এনসিপি, আমূল পরিবর্তনের আহ্বান কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের  সাবেক চেয়ারম্যান জামাল নাসের সচিবের বিরুদ্ধে অনিয়মে জনবল নিয়োগ,জ্ঞাত আয় বহিভূত সম্পদ অর্জন,, বোর্ডে অনিয়ম নিয়ম বহিরভূত  অবৈধ উপায়ে ১২ জন ঠিকা ভিত্তিক কর্মচারী নিয়োগে বয়স জালিয়াতির অভিযোগ ট্রাম্প-মোদি-শি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

নারী পাচার চক্রের হোতা আজমের জামিন স্থগিতই থাকছে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৫:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৪৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

আইন আদালত রিপোর্ট।।

দুবাইয়ের হোটেল ব্যবসায়ী আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের হোতা আজম খানকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে মো. আজম খানের জামিন স্থগিতই থাকছে।

আজ রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

আদেশের আগে প্রধান বিচারপতি আসামিপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এরকম পাচারকারীদের ছাড় দেওয়া হলে সমাজ থাকবে না। তিনি বলেন, হোটেলে চাকরি দেওয়ার নামে দুবাই নেওয়া হয়েছে। অথচ তাদের সেখানে নিয়ে চাকরি না দিয়ে কি করা হলো ভাবুনতো?

আদালতে আজম খানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

এর আগে গত ১৯ জুলাই হাইকোর্ট আজম খানকে জামিন দেন। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনে ২৭ জুলাই আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি আজম খানের জামিন স্থগিত করে দেন।

জানা যায়, মো. আজম খান দুবাইয়ে সাত-আট বছর ধরে হোটেল ব্যবসা করে আসছিলেন। সেখানে তিনি চারটি হোটেল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। হোটেল ফরচুন রয়েল, ফরচুন গ্র্যান্ড হোটেল ও সিটি টাওয়ার হোটেল চার-তারকা মানের এবং ফরচুন পার্ল হোটেল তিন-তারকা মানের। এসব হোটেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে তিনি বাংলাদেশ থেকে ৬০-৭০ জন মেয়েকে নিয়ে যান।সেখানে অর্থের বিনিময়ে আগতদের সঙ্গে তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করতেন আজম খান। এটা জানার পর ওই দেশের সরকার তার পাসপোর্ট জব্দ করে দেশ থেকে বহিষ্কার করে। এরপর মো. আজম খান দেশে ফিরে আসেন। ওদিকে ভুক্তভোগী নারীরা দেশে ফিরে তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেন। এরপর পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে গত বছরের ২ জুলাই মানবপাচারের অভিযোগে মামলা করে।মামলার কয়েক দিনের মধ্যেই গত বছর জুলাইয়ে পুলিশ আজম খানকে গ্রেফতার করে। এরপর তিনি ঘটনা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নারী পাচার চক্রের হোতা আজমের জামিন স্থগিতই থাকছে

আপডেট টাইম : ০৯:১৫:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

আইন আদালত রিপোর্ট।।

দুবাইয়ের হোটেল ব্যবসায়ী আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের হোতা আজম খানকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে মো. আজম খানের জামিন স্থগিতই থাকছে।

আজ রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

আদেশের আগে প্রধান বিচারপতি আসামিপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এরকম পাচারকারীদের ছাড় দেওয়া হলে সমাজ থাকবে না। তিনি বলেন, হোটেলে চাকরি দেওয়ার নামে দুবাই নেওয়া হয়েছে। অথচ তাদের সেখানে নিয়ে চাকরি না দিয়ে কি করা হলো ভাবুনতো?

আদালতে আজম খানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

এর আগে গত ১৯ জুলাই হাইকোর্ট আজম খানকে জামিন দেন। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনে ২৭ জুলাই আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি আজম খানের জামিন স্থগিত করে দেন।

জানা যায়, মো. আজম খান দুবাইয়ে সাত-আট বছর ধরে হোটেল ব্যবসা করে আসছিলেন। সেখানে তিনি চারটি হোটেল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। হোটেল ফরচুন রয়েল, ফরচুন গ্র্যান্ড হোটেল ও সিটি টাওয়ার হোটেল চার-তারকা মানের এবং ফরচুন পার্ল হোটেল তিন-তারকা মানের। এসব হোটেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে তিনি বাংলাদেশ থেকে ৬০-৭০ জন মেয়েকে নিয়ে যান।সেখানে অর্থের বিনিময়ে আগতদের সঙ্গে তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করতেন আজম খান। এটা জানার পর ওই দেশের সরকার তার পাসপোর্ট জব্দ করে দেশ থেকে বহিষ্কার করে। এরপর মো. আজম খান দেশে ফিরে আসেন। ওদিকে ভুক্তভোগী নারীরা দেশে ফিরে তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেন। এরপর পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে গত বছরের ২ জুলাই মানবপাচারের অভিযোগে মামলা করে।মামলার কয়েক দিনের মধ্যেই গত বছর জুলাইয়ে পুলিশ আজম খানকে গ্রেফতার করে। এরপর তিনি ঘটনা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।