ঢাকা ১১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
ফরজ বিধান পর্দা যেখানে নাই, সেখানে রহমত নাই -ছারছীনার পীর ছাহেব ভ্যাট ও শুল্ক কমানোর দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ে রেস্তোরা মালিক, শ্রমিকের মানববন্ধন টাঙ্গাইল সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় বিএনপির মহাসচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ! ব্যাংক খাত ধ্বংসের শুরুটা হয় এসকে সুরের হাত দিয়ে গ্যাস-সংকটে চট্টগ্রামে দেশি বিদেশি বিনিয়োগে স্থবিরতা মাত্র ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট হলে নতুন বিনিয়োগ বাড়বে ঢাকা রাজধানী শাজাহানপুর ডাকাতি মামলার আসামি গ্রেফতার করেছে পুলিশ গাজীপুরে প্রতিবেশীদের হামলায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ আহত দুই: তদন্তে পুলিশ নাসিরনগরে মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়ন ও সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক এ্যাডভোকেসী সভা ভৈরবে আওয়ামী লীগের পরিত্যক্ত অফিস থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফ’র হাতে বাংলাদেশী আটক

নারী পাচার চক্রের হোতা আজমের জামিন স্থগিতই থাকছে

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৯:১৫:১২ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২১৪ ৫০০০.০ বার পাঠক

আইন আদালত রিপোর্ট।।

দুবাইয়ের হোটেল ব্যবসায়ী আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের হোতা আজম খানকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে মো. আজম খানের জামিন স্থগিতই থাকছে।

আজ রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

আদেশের আগে প্রধান বিচারপতি আসামিপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এরকম পাচারকারীদের ছাড় দেওয়া হলে সমাজ থাকবে না। তিনি বলেন, হোটেলে চাকরি দেওয়ার নামে দুবাই নেওয়া হয়েছে। অথচ তাদের সেখানে নিয়ে চাকরি না দিয়ে কি করা হলো ভাবুনতো?

আদালতে আজম খানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

এর আগে গত ১৯ জুলাই হাইকোর্ট আজম খানকে জামিন দেন। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনে ২৭ জুলাই আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি আজম খানের জামিন স্থগিত করে দেন।

জানা যায়, মো. আজম খান দুবাইয়ে সাত-আট বছর ধরে হোটেল ব্যবসা করে আসছিলেন। সেখানে তিনি চারটি হোটেল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। হোটেল ফরচুন রয়েল, ফরচুন গ্র্যান্ড হোটেল ও সিটি টাওয়ার হোটেল চার-তারকা মানের এবং ফরচুন পার্ল হোটেল তিন-তারকা মানের। এসব হোটেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে তিনি বাংলাদেশ থেকে ৬০-৭০ জন মেয়েকে নিয়ে যান।সেখানে অর্থের বিনিময়ে আগতদের সঙ্গে তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করতেন আজম খান। এটা জানার পর ওই দেশের সরকার তার পাসপোর্ট জব্দ করে দেশ থেকে বহিষ্কার করে। এরপর মো. আজম খান দেশে ফিরে আসেন। ওদিকে ভুক্তভোগী নারীরা দেশে ফিরে তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেন। এরপর পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে গত বছরের ২ জুলাই মানবপাচারের অভিযোগে মামলা করে।মামলার কয়েক দিনের মধ্যেই গত বছর জুলাইয়ে পুলিশ আজম খানকে গ্রেফতার করে। এরপর তিনি ঘটনা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

নারী পাচার চক্রের হোতা আজমের জামিন স্থগিতই থাকছে

আপডেট টাইম : ০৯:১৫:১২ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

আইন আদালত রিপোর্ট।।

দুবাইয়ের হোটেল ব্যবসায়ী আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের হোতা আজম খানকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে মো. আজম খানের জামিন স্থগিতই থাকছে।

আজ রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

আদেশের আগে প্রধান বিচারপতি আসামিপক্ষের আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এরকম পাচারকারীদের ছাড় দেওয়া হলে সমাজ থাকবে না। তিনি বলেন, হোটেলে চাকরি দেওয়ার নামে দুবাই নেওয়া হয়েছে। অথচ তাদের সেখানে নিয়ে চাকরি না দিয়ে কি করা হলো ভাবুনতো?

আদালতে আজম খানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

এর আগে গত ১৯ জুলাই হাইকোর্ট আজম খানকে জামিন দেন। এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা এক আবেদনে ২৭ জুলাই আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি আজম খানের জামিন স্থগিত করে দেন।

জানা যায়, মো. আজম খান দুবাইয়ে সাত-আট বছর ধরে হোটেল ব্যবসা করে আসছিলেন। সেখানে তিনি চারটি হোটেল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। হোটেল ফরচুন রয়েল, ফরচুন গ্র্যান্ড হোটেল ও সিটি টাওয়ার হোটেল চার-তারকা মানের এবং ফরচুন পার্ল হোটেল তিন-তারকা মানের। এসব হোটেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে তিনি বাংলাদেশ থেকে ৬০-৭০ জন মেয়েকে নিয়ে যান।সেখানে অর্থের বিনিময়ে আগতদের সঙ্গে তাঁদের শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করতেন আজম খান। এটা জানার পর ওই দেশের সরকার তার পাসপোর্ট জব্দ করে দেশ থেকে বহিষ্কার করে। এরপর মো. আজম খান দেশে ফিরে আসেন। ওদিকে ভুক্তভোগী নারীরা দেশে ফিরে তার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দেন। এরপর পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে গত বছরের ২ জুলাই মানবপাচারের অভিযোগে মামলা করে।মামলার কয়েক দিনের মধ্যেই গত বছর জুলাইয়ে পুলিশ আজম খানকে গ্রেফতার করে। এরপর তিনি ঘটনা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।