ঢাকা ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ময়মনসিংহ-গাজীপুর আরপিসিএল এর জমি অধিগ্রহণে শত কোটি টাকা লোপাট হওয়ার পথে, নেপত্বে জালাল ও ফারুক মাষ্টার ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা এবার শাহবাগে সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে রকেট হামলার পরদিন সহিংসতায় নিহত ৫ শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকার ভালোভাবে নেয়নি ভারত আজমিরীগঞ্জে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক গাছ কাটার অভিযোগ  নান্দাইলে সরকারী জায়গা দখল করে দোকানপাট নিমার্ণ করলেন আ’লীগ নেতা নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা, খোঁজখবর নিলেন আহতদের রাষ্ট্র কখন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে পারে প্রশ্ন গণভবনে তিন উপদেষ্টা, যা জানালেন তারা বিটিসিএল এর নাম ব্যবহার করে অবৈধ ভাবে ব্যবসা করছে

মামুনুল হককে খুলনার আদালতে হাজির, ১০ অক্টোবর চার্য গঠন

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০৮:২০:১১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / ২৩৮ ৫০০০.০ বার পাঠক

ষ্টাফ রিপোর্টার, খুলনা জেলা।।

খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় দায়েরকৃত একটি বিষ্ফোরক মামলায় রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা মাওলানা মামুনুল হককে খুলনা জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ১১ টা ৫ মিনিটে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারক এসএম আশিকুর রহমান শুনানী শেষে ১০ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

আদালতের রাস্ট্র পক্ষের আইনজীবী পিপি কে এম ইকবাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আগামী ১০ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য্য করা হয়েছে। আজ মামুনুর হককে এ মামলায় শোন এ্যারেস্ট দেখানো হয়। আগামী ধার্য দিনে তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হবে।

২০১৩ সালে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। এ মামলার আসামি মামুনুল হককে আদালতে হাজির করার জন্য কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে কঠোর নিরাপত্তায় গত শুক্রবার বিকেলে খুলনা জেলা কারাগারে আনা হয়।

মামলার চার্জশিট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সোয়া চারটার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল, গ্রেফতারকৃত যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি ও সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়ে জামায়েতে ইসলামী, বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামীসহ ১২ দলের প্রায় ৩ হাজার মানুষ মিছিল বের করে। মিছিলটি নগরীর ডাকবাংলা ও ময়লাপোতা মোড় হয়ে শিববাড়ি মোড়ে গণজাগরণ মঞ্চের দিকে যাচ্ছিল। ফুজি কালার ল্যাবের সামনে পৌঁছালে পুলিশী বাঁধার সম্মুখীন হয়। এ সময় মিছিলকারীদেও মধ্য থেকে পুলিশের ওপর ককটেল বোমা ও গুলি নিক্ষেপ বর্ষণ করা হয়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। মিছিলকারীদের নিক্ষিপ্ত বোমার আঘাতে কিছু সংখ্যক পুলিশ আহত হয়। সে সময় তাদের চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে সেখান থেকে ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

সেই ঘটনায় খুলনা মহানগর ইমাম পরিষদের কয়েকজন নেতা ও হেফাজত ইসলামীর নেতা মাওলানা মামুনুল হকসহ ২৬ জনের নামে ২২ ফেব্রয়ারি সোনাডাঙ্গা থানার এসআই আলমগীর কবীর বাদী মামলা দায়ের করেন, যার নং ২৩। চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, উক্ত ঘটনার আগের দিন ময়লাপোতা মসজিদ মোড়ে ওয়াজ করার সময় মামুনুল হকসহ অন্যান্যরা সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুরসহ পুড়িয়ে দেয়ার জন্য অনুসারিদের নির্দেশ দেন।

২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ মোক্তার হোসেন মোট ১০৭ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এসএম আশিকুর রহমান পূর্ববর্তী একটি কার্য দিবসে মামুনুল হককে রবিবার আদালতে উপস্থিত করার জন্য নির্দেশ দেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মামুনুল হককে খুলনার আদালতে হাজির, ১০ অক্টোবর চার্য গঠন

আপডেট টাইম : ০৮:২০:১১ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

ষ্টাফ রিপোর্টার, খুলনা জেলা।।

খুলনার সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় দায়েরকৃত একটি বিষ্ফোরক মামলায় রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে হেফাজতে ইসলামের সাবেক নেতা মাওলানা মামুনুল হককে খুলনা জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ১১ টা ৫ মিনিটে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারক এসএম আশিকুর রহমান শুনানী শেষে ১০ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

আদালতের রাস্ট্র পক্ষের আইনজীবী পিপি কে এম ইকবাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আগামী ১০ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য্য করা হয়েছে। আজ মামুনুর হককে এ মামলায় শোন এ্যারেস্ট দেখানো হয়। আগামী ধার্য দিনে তার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হবে।

২০১৩ সালে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। এ মামলার আসামি মামুনুল হককে আদালতে হাজির করার জন্য কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যানে করে কঠোর নিরাপত্তায় গত শুক্রবার বিকেলে খুলনা জেলা কারাগারে আনা হয়।

মামলার চার্জশিট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সোয়া চারটার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল, গ্রেফতারকৃত যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি ও সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়ে জামায়েতে ইসলামী, বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামীসহ ১২ দলের প্রায় ৩ হাজার মানুষ মিছিল বের করে। মিছিলটি নগরীর ডাকবাংলা ও ময়লাপোতা মোড় হয়ে শিববাড়ি মোড়ে গণজাগরণ মঞ্চের দিকে যাচ্ছিল। ফুজি কালার ল্যাবের সামনে পৌঁছালে পুলিশী বাঁধার সম্মুখীন হয়। এ সময় মিছিলকারীদেও মধ্য থেকে পুলিশের ওপর ককটেল বোমা ও গুলি নিক্ষেপ বর্ষণ করা হয়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। মিছিলকারীদের নিক্ষিপ্ত বোমার আঘাতে কিছু সংখ্যক পুলিশ আহত হয়। সে সময় তাদের চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে সেখান থেকে ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

সেই ঘটনায় খুলনা মহানগর ইমাম পরিষদের কয়েকজন নেতা ও হেফাজত ইসলামীর নেতা মাওলানা মামুনুল হকসহ ২৬ জনের নামে ২২ ফেব্রয়ারি সোনাডাঙ্গা থানার এসআই আলমগীর কবীর বাদী মামলা দায়ের করেন, যার নং ২৩। চার্জশিটে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, উক্ত ঘটনার আগের দিন ময়লাপোতা মসজিদ মোড়ে ওয়াজ করার সময় মামুনুল হকসহ অন্যান্যরা সংগঠিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুরসহ পুড়িয়ে দেয়ার জন্য অনুসারিদের নির্দেশ দেন।

২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোঃ মোক্তার হোসেন মোট ১০৭ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এসএম আশিকুর রহমান পূর্ববর্তী একটি কার্য দিবসে মামুনুল হককে রবিবার আদালতে উপস্থিত করার জন্য নির্দেশ দেন।