আর কোনো সমস্যা নেই, টিকা এসে গেছে আরও আসবে বলেছেন- প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট টাইম : ০৯:২২:৩৩ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৩ জুলাই ২০২১
- / ২৬২ ৫০০০.০ বার পাঠক
সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট ।।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ভারত থেকে করোনা টিকা কেনার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু ভারতে যেভাবে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা বেড়েছে ফলে তারা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে কিছুদিন আমাদের সমস্যা হয়েছিল। এখন আর সমস্যা নেই। চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা এসে গেছে আরও টিকা আসবে ও দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী ।
আজ শনিবার (৩ জুলাই) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাজেট অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ভারত থেকে করোনা টিকা কেনার ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু ভারতে যেভাবে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা বেড়েছে ফলে তারা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে কিছুদিন আমাদের সমস্যা হয়েছিল। এখন আর সমস্যা নেই। চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা এসে গেছে আরও আসবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার (২ জুলাই) রাতে এবং শনিবার সকালে মডার্না ও সিনোফার্মের টিকা আসার কথা উল্লেখ করে বলেন, যেখানে টিকা পাওয়া যাচ্ছে ,আমরা সেখানে যোগাযোগ করছি। আরও টিকা কিনে আনবো। চীন, রাশিয়া, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র সব জায়গায় আমরা যোগাযোগ রেখেছি। আমি আগেই বলেছি আমরা ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনবো। বিনামূল্যে টিকা দেওয়া হচ্ছে। আমরা অনেক টাকা দিয়ে টিকা কিনে এনেছি। কিন্তু জনগণের স্বার্থে বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছি। আমরা সব কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার দেই গ্রামের মানুষ ও খেটেখাওয়া মানুষের।
তিনি বলেন, টিকা দেওয়ার পর স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে। শিশুদেরও তো করোনা হচ্ছে। জেনেশুনে শিশুদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেবো কিনা বিরোধী দলের উপনেতা ও সংসদ সদস্যদের বলতে চাই। আমরা জেনেশুনে শিশুদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিতে পারি না। শুধু বাংলাদেশেই এই অবস্থা না সারা বিশ্বেই একই অবস্থা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘যাদের ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে যায়, তারাই কিন্তু তাদের বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে চান না। তবে যাদের ছেলে-মেয়ে লেখাপড়া করে না, ইদানিং সবচেয়ে বেশি সোচ্চার তারা। পড়ার মতো ছেলে-মেয়ে নাই, তারাই বেশি কথা বলে। কিন্তু যারা যায়, তারা তো চাচ্ছেন না।’
তিনি বলেন, ‘ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া শিখবে। কিন্তু সেই লেখাপড়ার জন্য তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেব কি-না, তা আমাদের মাননীয় সংসদ উপনেতা একটু বিবেচনা করবেন।’
বাবা-মায়েরা চায় না তাদের সন্তানরা এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাক। আর যাদের ছেলে-মেয়ে নেই তারা শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই শিক্ষকদের টিকা দিয়েছি। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী—কোন টিকা কোন বয়সে দিতে হয়, সেটা অনুসরণ করতে হয়। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ইতোমধ্যেই আমরা শিশুদের টিকাদান শুরু করেছি।’
তিনি আরও বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ দেওয়া হয়েছে। আপনাদের প্রতি আহ্বান অন্তত নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন। নিজে সুরক্ষিত থাকুন, অন্যকেও সুরক্ষিত রাখুন। সবাই এটা মেনে চললে আমরা করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবো। টিকা আসা শুরু হয়েছে আর সমস্যা হবে না।