শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্ন হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খোলা হবে”
- আপডেট টাইম : ০৯:৫০:১১ পূর্বাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১
- / ২২০ ৫০০০.০ বার পাঠক
সংসদ রিপোর্টার।।
ভ্যাকসিনেশনের মাধ্যমে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের করোনা টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্ন হলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। টিকা দিয়ে কলেজ ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে বলে । আর করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠার খুলে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
আগামী জুলাই মাস থেকে দেশে করোনাভাইরাসের টিকা আসতে শুরু করবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টিকা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আমরা আশা করছি জুলাই মাস থেকে আরো ভ্যাকসিন আসবে। আমরা ব্যাপক হারে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চীন, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। আমরা ৮০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনব। বিশেষ করে বিদেশে যারা যাবেন, আগে তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য আমরা বলেছি।
তিনি আরো বলেন, করোনা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত ২০ হাজার ৫০০ চিকিৎসক ও নার্সকে ১০৪ কোটি টাকা বিশেষ সম্মানী দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন সংগ্রহে যত টাকাই লাগুক না কেনো আমরা সেই টাকা দেব। ১৪ হাজার কোটি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ভ্যাকসিন বাজারে আসার আগে থেকেই আমরা যোগাযোগ রেখেছি।
টিকা দিয়ে কলেজ ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠার খুলে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের করোনা টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের করোনা টিকাদান কার্যক্রম সম্পন্ন হলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। আর করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশমত ভ্যাকসিন দেওয়ার বয়সের একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমরা স্কুল থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষায় যারা আছেন সবাই যেন ভ্যাকসিন পায় এবং দ্রুত যেন আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারি। সেই ব্যবস্থাটা আমরা নেবো। সরকার শিক্ষাকে আমরা সব থেকে গুরুত্ব দেয়। শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ সার্বিক মানবসম্পদ উন্নয়নকে গুরুত্ব দেওয়া হযেছে বাজেটে। করোনা মহামারি প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমার গৃহ আমার স্কুল, ঘরে বসে শিখিসহ সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে দূরশিক্ষণের কার্যক্রম চলছে। বাংলাদেশ বেতার, কমিউনিটি রেডিও এবং অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা হয়েছে। এতে করে প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ এক বছর শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখা সম্ভবপর হয়েছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিনামুল্যে পাঠ্যপুস্তক বিরতণ করেছি। বৃত্তি, উপবৃত্তি দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু না থাকায় শিক্ষার্থীদের খুবই কষ্ট হচ্ছে ৷ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের টিকাদান ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম সম্পন্ন হলে আমরা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে সক্ষম হবো। কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল মাদ্রাসা খুলে দেওয়া হবে।