ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
মহাদেবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু বরিশালে দুই মাস পর খুলে দেওয়া হলো খলিলের মাংসের দোকান সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে চোরাইকৃত মিশুকের যন্ত্রাংশ উদ্ধার,তিন গাড়ি চোর গ্রেফতার ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ইবি ছাত্রলীগের বিক্ষোভ-সমাবেশ রাতে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছিলেন জুতার দোকানের কর্মচারী রাস্তাতে ধরে মাদক মামলায় ফাসালেন পুলিশ অভিযোগ করেন ফরিদ এই মাসে ঘূর্ণিঝড়ের ইঙ্গিত আবহাওয়া অফিসের রাজধানীর যেসব এলাকায় বসবে কুরবানির হাট এমপিদের চেয়ে এগিয়ে চেয়ারম্যানরা অবৈধ সম্পদ বেশি অপকর্ম ঢাকতে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে ইসরাইল ডায়মন্ডহারবার জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ট্রাফিক পুলিশের হাতে তুলে ধরা হল ছাতা গুলোকজ, তোয়ালে

উপনিবেশিক আমলের দুই আইন বাতিল করতে সংসদে বিল উত্থাপন

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

উপনিবেশিক আমলের প্রণীত মেডিকেল ডিগ্রি ও মেডিকেল কলেজ সংক্রান্ত দুটি আইন বাতিল করতে সংসদে পৃথক বিল উত্থাপন করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক পৃথকভাবে ১৯১৬ সালে প্রণীত ‘মেডিকেল ডিগ্রিস অ্যাক্ট’ বাতিল করতে ‘মেডিকেল ডিগ্রিস (রিপিল) বিল-২৯২১’ এবং ১৯৬১ সালে প্রণীত ‘মেডিকেল কলেজেস (গভর্নিং বডিস) অর্ডিন্যান্স’ বাতিল করতে ‘মেডিকেল কলেজ (গভর্নিং বডিস) (রিপিল) বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করেন।

পরে বিল দুটি সাতদিনের পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

‘মেডিকেল ডিগ্রিস (রিপিল) বিল’ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, “মেডিকেল ডিগ্রিস অ্যাক্ট একটি সংক্ষিপ্ত আইন যার প্রতিটি ধারা ‘বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ এর এক বা একাধিক ধারায় সন্নিবেশিত রয়েছে।

এ আইনের লঙ্ঘন এবং সংঘটিত অপরাধের শাস্তি অপর্যাপ্ত যা সময়োপযোগী নয়। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন একটি বিশদ বিস্তৃত আইন যার প্রয়োগিক দিক থেকে অনেক বিস্তৃত এবং সময়োপযোগী। কাজেই এ আইনটির কার্যকারিতা ও প্রায়োগিক ক্ষেত্রসমূহ ‘বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন’ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিধায় আইনটি প্রত্যাহার করা আবশ্যক।”

মেডিকেল কলেজ (গভর্নিং বডিস) (রিপিল) বিল-২০২১’ সম্পর্কেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “১৯৬১ সালে মেডিকেল কলেজ (গভর্নিং বডিস) অর্ডিন্যান্স’ প্রণয়ন কেো হগয়। কিন্তু কার্যত এই অধ্যাদেশটির তেমন কোন প্রয়োগ ছিল না। ১৯৮৩ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক দেশে মেডিকেল কলেজগুলো সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য একাডেমিক কাউন্সিল ফর মেসডিকেল কলেজ অব বাংলাদেশ এবং ডিসিপ্লিনারি কমিটি ফর দ্যা মেডিকেল কলেজ অব বাংলাদেশ গঠন করা হয়।

উক্ত সময় হতে অদ্যবদি একাডেমিক কাউন্সিল ও ডিসিপ্লিনারি কমিটি কমিটি দ্বারাই সরকারি মেডিকেল কলেজ পরিচালিত হয়ে আসছে। এছাড়া বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো সংশ্লিষ্ট এফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং ‘বেসরকারি মেডিকেল স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১১ (সংশোধিত)’ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। সুতরাং ১৯৬১ সালের মেডিকেল কলেজেস (গভর্নিং বডিস) অর্ডিন্যান্স এর কার্যকারিতা নেই।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

মহাদেবপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু

উপনিবেশিক আমলের দুই আইন বাতিল করতে সংসদে বিল উত্থাপন

আপডেট টাইম : ১০:২৮:১৯ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

উপনিবেশিক আমলের প্রণীত মেডিকেল ডিগ্রি ও মেডিকেল কলেজ সংক্রান্ত দুটি আইন বাতিল করতে সংসদে পৃথক বিল উত্থাপন করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক পৃথকভাবে ১৯১৬ সালে প্রণীত ‘মেডিকেল ডিগ্রিস অ্যাক্ট’ বাতিল করতে ‘মেডিকেল ডিগ্রিস (রিপিল) বিল-২৯২১’ এবং ১৯৬১ সালে প্রণীত ‘মেডিকেল কলেজেস (গভর্নিং বডিস) অর্ডিন্যান্স’ বাতিল করতে ‘মেডিকেল কলেজ (গভর্নিং বডিস) (রিপিল) বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করেন।

পরে বিল দুটি সাতদিনের পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

‘মেডিকেল ডিগ্রিস (রিপিল) বিল’ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, “মেডিকেল ডিগ্রিস অ্যাক্ট একটি সংক্ষিপ্ত আইন যার প্রতিটি ধারা ‘বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০’ এর এক বা একাধিক ধারায় সন্নিবেশিত রয়েছে।

এ আইনের লঙ্ঘন এবং সংঘটিত অপরাধের শাস্তি অপর্যাপ্ত যা সময়োপযোগী নয়। পক্ষান্তরে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন একটি বিশদ বিস্তৃত আইন যার প্রয়োগিক দিক থেকে অনেক বিস্তৃত এবং সময়োপযোগী। কাজেই এ আইনটির কার্যকারিতা ও প্রায়োগিক ক্ষেত্রসমূহ ‘বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন’ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিধায় আইনটি প্রত্যাহার করা আবশ্যক।”

মেডিকেল কলেজ (গভর্নিং বডিস) (রিপিল) বিল-২০২১’ সম্পর্কেও স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “১৯৬১ সালে মেডিকেল কলেজ (গভর্নিং বডিস) অর্ডিন্যান্স’ প্রণয়ন কেো হগয়। কিন্তু কার্যত এই অধ্যাদেশটির তেমন কোন প্রয়োগ ছিল না। ১৯৮৩ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক দেশে মেডিকেল কলেজগুলো সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য একাডেমিক কাউন্সিল ফর মেসডিকেল কলেজ অব বাংলাদেশ এবং ডিসিপ্লিনারি কমিটি ফর দ্যা মেডিকেল কলেজ অব বাংলাদেশ গঠন করা হয়।

উক্ত সময় হতে অদ্যবদি একাডেমিক কাউন্সিল ও ডিসিপ্লিনারি কমিটি কমিটি দ্বারাই সরকারি মেডিকেল কলেজ পরিচালিত হয়ে আসছে। এছাড়া বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো সংশ্লিষ্ট এফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয় এবং ‘বেসরকারি মেডিকেল স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা-২০১১ (সংশোধিত)’ অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। সুতরাং ১৯৬১ সালের মেডিকেল কলেজেস (গভর্নিং বডিস) অর্ডিন্যান্স এর কার্যকারিতা নেই।