ঢাকা ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ময়মনসিংহ-গাজীপুর আরপিসিএল এর জমি অধিগ্রহণে শত কোটি টাকা লোপাট হওয়ার পথে, নেপত্বে জালাল ও ফারুক মাষ্টার ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা এবার শাহবাগে সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে রকেট হামলার পরদিন সহিংসতায় নিহত ৫ শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎকার ভালোভাবে নেয়নি ভারত আজমিরীগঞ্জে স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে জোড়পূর্বক গাছ কাটার অভিযোগ  নান্দাইলে সরকারী জায়গা দখল করে দোকানপাট নিমার্ণ করলেন আ’লীগ নেতা নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা, খোঁজখবর নিলেন আহতদের রাষ্ট্র কখন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে পারে প্রশ্ন গণভবনে তিন উপদেষ্টা, যা জানালেন তারা বিটিসিএল এর নাম ব্যবহার করে অবৈধ ভাবে ব্যবসা করছে

চট্টগ্রাম রাজাখালী এলাকা থেকে  সাংবাদিকরা শনাক্ত করে দিল মাদকের আখড়া ও পতিতালয়। 

সময়ের কন্ঠ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : ০১:৪০:২৮ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১
  • / ৩৯৫ ৫০০০.০ বার পাঠক

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

নগরীর বাকলিয়া থানার ঠিক পাশেই রাজাখালী খালের অবস্থান। যার পূর্বপাশে লবন ফ্যাক্টরীর পাশের একটি কলোনির নাম আনজু  মিয়ার কলোনী। তথ্য ছিল এই কলোনিতেই চলছে রমরমা মাদকের ব্যবসা।  আর এরই অনুসন্ধানী অভিযানে নামে বেশ কয়েকজন পত্রিকাও অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে সেখানে মাদকের বড় অংকের চালান লেনদেন হবে এবং মাদক কারবারিরা সেখানে অবস্থান করছেন। এমন নিশ্চিত তথ্যের ভিত্তিতে তারা চট্টগ্রাম বাকুলিয়া থানার সহযোগিতা চান। পরবর্তীতে তারা ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহায়তা চান এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনার জন্য। ৯৯৯ এর কল এর  ভিত্তিতে দুজন পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। কিন্তু এসব প্রক্রিয়ায় যে সময়ের প্রয়োজন হয় তৎক্ষণাৎ সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে যায় মাদক কারবারিরা। তাদের সাথে থাকা লোকজন নিয়ে তারা সাংবাদিকদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে জানা যায়। এক পর্যায়ে  অনলাইন পোর্টালের একজন সাংবাদিক  আহত হন। তখনো সেখানে উপস্থিত ছিল পরিচালক ইয়াবা কারবারি মামুন, সেলিম,মিজান, আরিফ সহ দালাল সোহেল, শওকত, রুবেল, খদ্দের সহ ৫ জন পতিতা।

এক পর্যায়ে পরিচালক মামুন সহ দালাল সোহেল, শওকত,রুবেল দল বল নিয়ে সাংবাদিকদের হামলা করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অভিযোগ রয়েছে ৯৯৯ এ কল করার পূর্বে সাংবাদিকেরা চট্টগ্রাম বাকলিয়া থানার সহযোগিতা চেয়ে ছিলেন।

এ সময় বাকলিয়া থানার কিন্তু তারা পাননি বলে জোরালোভাবে অভিযোগ করেছেন। অবশেষে পুলিশের  নির্ভরযোগ্য স্থান এবং সাধারন মানুষের বিশ্বাসের অবলম্বন  ৯৯৯ নাম্বারে কল করার পর ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ আসে।  এসময় জরুরী ফোন নাম্বারের সংবাদ পেয়ে ২ জন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে আসলেও ততক্ষনে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় অনেক মাদক কারবারিদের অনেকেই। তবে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় ৪ পতিতাকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকা বাসির অভিযোগ করেন থানা পুলিশের সাথে পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে পতিতালয়ের মালিক পরিচালক ও তার সহ যোগিদের। নিয়মিত

মাসিক মাসোয়ারা যায় থানায়। এ কারণেই ৪ মাস ধরে জনবহুল বস্ততিতেই  এই অসামাজিক কার্য কলাপ চালিয়ে আসছিল এই কতিপয় দুষ্কৃতকারী ও খদ্দেররা।

এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রুহুল আমিনের বক্তব্য নিতে গেলে তিনি সাংবাদিকরা কোন অধিকারে পতিতালয়ে গেলে এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এবং তাদেরকে থানা থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

ঘটনাস্থল এ উপস্থিত সাধারণ মানুষের মুখ থেকে আরো জানাযায়, বারবার অভিযোগ করেও কোন সহয়তা পাননি এলাকাবাসী। কেউ এদের বিরুদ্বে অভিযোগ করলেই  শিকার হন হামলা মামলা ও মিথ্যা অভিযোগের। তাদের আচরণে তারা এতটাই স্বাভাবিকভাবে বলছিল যত লেখালেখি করেন না কেন কিছুই হবে না এদের। পরিবর্তনশীল সমাজের অনেক কিছুই আজ সাধারণমানুষ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে মাদকের ব্যাপারে তিনি জিরো টলারেন্স। অপরাধ যেখানেই  হোক না কেনো অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা হবে। দীর্ঘদিন প্রমাণের অভাবে সাংবাদিকরা খবর দিয়েও তেমন  কোনো সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। তাই তারা অত্যন্ত গোপনীয় ভাবে মাদক কারবারীদের হাতেনাতে প্রমান সহ ধরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা রেখেছেন। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষ সাংবাদিকদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। সাংবাদিকরা মনে করেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ এভাবে চলতে দেয়া যায় না। যদি এভাবে চলতে থাকে তবে আগামী প্রজন্মের কাছে সাংবাদিকরা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবেন।

আরো খবর.......

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চট্টগ্রাম রাজাখালী এলাকা থেকে  সাংবাদিকরা শনাক্ত করে দিল মাদকের আখড়া ও পতিতালয়। 

আপডেট টাইম : ০১:৪০:২৮ অপরাহ্ণ, শুক্রবার, ২৫ জুন ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্ট।।

নগরীর বাকলিয়া থানার ঠিক পাশেই রাজাখালী খালের অবস্থান। যার পূর্বপাশে লবন ফ্যাক্টরীর পাশের একটি কলোনির নাম আনজু  মিয়ার কলোনী। তথ্য ছিল এই কলোনিতেই চলছে রমরমা মাদকের ব্যবসা।  আর এরই অনুসন্ধানী অভিযানে নামে বেশ কয়েকজন পত্রিকাও অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে সেখানে মাদকের বড় অংকের চালান লেনদেন হবে এবং মাদক কারবারিরা সেখানে অবস্থান করছেন। এমন নিশ্চিত তথ্যের ভিত্তিতে তারা চট্টগ্রাম বাকুলিয়া থানার সহযোগিতা চান। পরবর্তীতে তারা ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহায়তা চান এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনার জন্য। ৯৯৯ এর কল এর  ভিত্তিতে দুজন পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। কিন্তু এসব প্রক্রিয়ায় যে সময়ের প্রয়োজন হয় তৎক্ষণাৎ সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে যায় মাদক কারবারিরা। তাদের সাথে থাকা লোকজন নিয়ে তারা সাংবাদিকদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে জানা যায়। এক পর্যায়ে  অনলাইন পোর্টালের একজন সাংবাদিক  আহত হন। তখনো সেখানে উপস্থিত ছিল পরিচালক ইয়াবা কারবারি মামুন, সেলিম,মিজান, আরিফ সহ দালাল সোহেল, শওকত, রুবেল, খদ্দের সহ ৫ জন পতিতা।

এক পর্যায়ে পরিচালক মামুন সহ দালাল সোহেল, শওকত,রুবেল দল বল নিয়ে সাংবাদিকদের হামলা করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অভিযোগ রয়েছে ৯৯৯ এ কল করার পূর্বে সাংবাদিকেরা চট্টগ্রাম বাকলিয়া থানার সহযোগিতা চেয়ে ছিলেন।

এ সময় বাকলিয়া থানার কিন্তু তারা পাননি বলে জোরালোভাবে অভিযোগ করেছেন। অবশেষে পুলিশের  নির্ভরযোগ্য স্থান এবং সাধারন মানুষের বিশ্বাসের অবলম্বন  ৯৯৯ নাম্বারে কল করার পর ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ আসে।  এসময় জরুরী ফোন নাম্বারের সংবাদ পেয়ে ২ জন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে আসলেও ততক্ষনে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় অনেক মাদক কারবারিদের অনেকেই। তবে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয় ৪ পতিতাকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকা বাসির অভিযোগ করেন থানা পুলিশের সাথে পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে পতিতালয়ের মালিক পরিচালক ও তার সহ যোগিদের। নিয়মিত

মাসিক মাসোয়ারা যায় থানায়। এ কারণেই ৪ মাস ধরে জনবহুল বস্ততিতেই  এই অসামাজিক কার্য কলাপ চালিয়ে আসছিল এই কতিপয় দুষ্কৃতকারী ও খদ্দেররা।

এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রুহুল আমিনের বক্তব্য নিতে গেলে তিনি সাংবাদিকরা কোন অধিকারে পতিতালয়ে গেলে এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এবং তাদেরকে থানা থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

ঘটনাস্থল এ উপস্থিত সাধারণ মানুষের মুখ থেকে আরো জানাযায়, বারবার অভিযোগ করেও কোন সহয়তা পাননি এলাকাবাসী। কেউ এদের বিরুদ্বে অভিযোগ করলেই  শিকার হন হামলা মামলা ও মিথ্যা অভিযোগের। তাদের আচরণে তারা এতটাই স্বাভাবিকভাবে বলছিল যত লেখালেখি করেন না কেন কিছুই হবে না এদের। পরিবর্তনশীল সমাজের অনেক কিছুই আজ সাধারণমানুষ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়ে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে মাদকের ব্যাপারে তিনি জিরো টলারেন্স। অপরাধ যেখানেই  হোক না কেনো অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা হবে। দীর্ঘদিন প্রমাণের অভাবে সাংবাদিকরা খবর দিয়েও তেমন  কোনো সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। তাই তারা অত্যন্ত গোপনীয় ভাবে মাদক কারবারীদের হাতেনাতে প্রমান সহ ধরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা রেখেছেন। এ বিষয়ে সাধারণ মানুষ সাংবাদিকদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। সাংবাদিকরা মনে করেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ এভাবে চলতে দেয়া যায় না। যদি এভাবে চলতে থাকে তবে আগামী প্রজন্মের কাছে সাংবাদিকরা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবেন।