রাজশাহীতে করোনায় আরও ১৫ জনের মৃত্যু, সর্বাত্মক লকডাউন
- আপডেট টাইম : ০৬:১৯:৩০ পূর্বাহ্ণ, শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১
- / ২৫৮ ৫০০০.০ বার পাঠক
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ দিনে দিনে হটস্পট হয়ে উঠা বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে করোনা আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েচে। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের মৃত্যু হয়।
এদের মধ্যে রাজশাহীর আটজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয়জন ও নাটোরের একজন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তারা মারা যান বলে জানান হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস।
তিনি জানান, মৃত ১৫ জনের মধ্যে সাতজন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর মারা যান। বাকিরা মারা যান নমুনা পরীক্ষার আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। আর করোন শনাক্ত সাতজনের মধ্যে রাজশাহীর চারজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুইজন ও নাটোরের একজন।
ডা. সাইফুল জানান, গত ১১ দিনে এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১০৮ জন। এর মধ্যে ৬৩ জনই মারা গেছেন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল জানান, গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন আরও ৪৩ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ২২, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১১, নওগাঁ সাত, নাটোরের একজন, পাবনা একজন ও মেহেরপুর একজন। একই সময় সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ জন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ওয়ার্ডের ২৭১ শয্যার বিপরিতে রোগি ভর্তি রয়েছেন ২৯৭ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ১৪২, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১১০, নওগাঁর ২৪, নাটোরের ১৫, পাবনার ৩, কুষ্টিয়ার ৩ জন। আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১৮ জন।
এদিকে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাজশাহীতে আজ শুক্রবার বিকেল থেকে সাতদিনের সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হচ্ছে। আজ বিকেল ৫টা থেকে ১৭ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত রাজশাহী সার্কেট হাউসে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জরুরী বৈঠকে এ লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর।
তিনি বলেন, জেলায় পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ও মৃত্যু হার বিশ্লেষণ করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। লকডাউনের সময় গণপরিবহন ও দোকানপাটসহ বন্ধ থাকবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ থেকে কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না, রাজশাহী থেকেও কোনো যানবাহন জেলার বাইরে যাবে না। তবে রোগী ও অন্য জরুরি সেবাদানকারীর ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।