আগামী নবেম্বরে প্রথমবারের মত ইউনেস্কো-বঙ্গবন্ধু পুরস্কার দেওয়া হবে
- আপডেট টাইম : ০৫:৩৪:০১ পূর্বাহ্ণ, শনিবার, ৫ জুন ২০২১
- / ২৪৪ ৫০০০.০ বার পাঠক
- সৃজনশীল অর্থনীতি ক্ষেত্রে
সময়ের কন্ঠ ডেস্ক ॥
আগামী নবেম্বরে সৃজনশীল অর্থনীতি ক্ষেত্রে ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরষ্কার প্রথমবারের মত প্রদান করা হবে। প্যারিসে অবস্থিত ইউনেস্কোর ৪১তম সাধারণ সভায় এই পুরস্কার প্রদান করা হবে।
প্যারিস দূতাবাস থেকে এ বিষয়ে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইউনেস্কোর সংস্কৃতি সেক্টরের সহকারী মহাপরিচালক এরনেস্টো রেনাটো ওটোনে তার বক্তব্যে বাংলাদেশকে ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনে এগিয়ে আসায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সকল সদস্য রাষ্ট্রকে মনোনয়ন প্রদানের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান এবং সৃজনশীল অর্থনীতি ক্ষেত্রে অবদান রাখা ব্যক্তিদের উৎসাহিত করার মহতী উদ্যোগে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
এদিকে, ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য শীর্ষক ২০০৫ কনভেনশনের আন্তঃরাষ্ট্রীয় কমিটিতে ২০২১-২০২৫ মেয়াদে প্রথমবারের নির্বাচিত হলো বাংলাদেশ। গত ১-৪ জুন ২০২১ এ ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত কনভেনশনের সদস্য রাষ্ট্রের ৮ম সাধারণ সভায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং সর্বসম্মতিক্রমে এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে বাংলাদেশ নির্বাচিত হয়।
এ নির্বাচনে ২৪ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ১২ সদস্য রাষ্ট্র পরবর্তী ৪ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়। বাংলাদেশসহ ফ্রান্স, নরওয়ে, জর্জিয়া, সার্বিয়া, কিউবা, জামাইকা, ভিয়েতনাম, বুরুন্ডি, মাদাগাস্কার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও প্যালেস্টাইন আন্তঃরাষ্ট্রীয় কমিটিতে নতুন সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়।
ইউনেস্কোতে সৃজনশীল অর্থনীতি ক্ষেত্রের কর্মকাণ্ড সমন্বিত হয় ২০০৫ কনভেনশনের মাধ্যমে। যেহেতু ‘সৃজনশীল অর্থনীতি ক্ষেত্রে ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরষ্কার’ প্রবর্তনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এ বিষয়ে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে নেতৃত্বের অবস্থানে এসেছে, তাই এ বিষয়ে আন্তঃরাষ্ট্রীয় কমিটিতে বাংলাদেশের নির্বাচিত হওয়া বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
নির্বাচিত হবার পর ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি কাজী ইমতিয়াজ হোসেন ২০০৫ কনভেনশনের সকল সকল সদস্য রাষ্ট্রকে বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রাখার জন্য ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি ২০০৫ কনভেনশন বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন।