ঢাকা ১০:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::
ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন: মুরাদ কবির সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাকের হেলপার গুরুতর আহত কুরআনে যাদেরকে আল্লাহর ওলি বলা হয়েছে। দুধরচকী। পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াবাঙ্গা দর্গাবাজারে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হাজী মো: মকবুল হোসেনের পথসভা ও গণসংযোগ জামালপুরে হাত পাখা শিল্পের প্রসার পুলিশ স্ত্রীর দাপটে বেপরোয়া জালাল উদ্দিন সাগর, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা মোংলায় মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া থানা পুলিশের অভিযানে ৪০০ গ্রাম গাঁজা সহ ১ আসামী গ্রেফতার সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার-১

মামুনুল হকের অ্যাকাউন্টে বছরে ৬ কোটি টাকা লেনদেন

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

হেফাজতে ইসলামের সদ্যবিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এছাড়া এতিমদের সহায়তায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সূত্র থেকে আসা কোটি কোটি টাকা নিজেদের বাড়ি গাড়ি কেনা ছাড়াও রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ পূরণে ব্যবহার করছেন মামুনুল হকসহ হেফাজতের শীর্ষ নেতারা।

রবিবার (৩০ মে) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মাহবুব আলম নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সম্প্রতি হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে অনেকগুলো মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। এর মধ্যে হেফাজতের অর্থনৈতিক বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বছরে প্রায় ছয় কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া, গ্রেফতার হেফাজতের সাবেক কমিটির অর্থ সম্পাদক মনির হোসেন কাশেমীর কাছ থেকে পাওয়া বেশকিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

এই অর্থায়নগুলো বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাধ্যমে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রবাসীরা মাদরাসা কিংবা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কাজে হেফাজতের কাছে দান করে। এর মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্যও তারা দান করে। এছাড়াও হেফাজতের জন্যও কিছু কিছু টাকা বিদেশ থেকে আসে। এই টাকাগুলো বিদেশ থেকে আসার পর হেফাজত নেতারা সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করতেন না। তাদের নিজের ইচ্ছামতো টাকাগুলো নেওয়ার পর খরচ করতেন। তারা এই টাকাগুলো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে, বিশেষ করে হেফাজতের নিজেদের কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করেছে। রোহিঙ্গাদের টাকাও হেফাজত নিজেদের কাজে ব্যবহার করতেন। সহায়তার এসব অর্থ দিয়ে হেফাজত নেতারা নিজেদের বাড়ি-গাড়ি করেছেন।

তদন্তে দেখা যায়, বেফাক কিংবা হায়াতুল ওলিয়ার মতো মাদরাসার গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনগুলো হেফাজতের কাছে জিম্মি হয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের অর্থ যাদের হাতে চলে যাচ্ছে কিংবা অর্থের নিয়ন্ত্রক যারা তারাই রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছেন। আবার ক্ষেত্র বিশেষ তারাই এই টাকাগুলোর মালিক হচ্ছেন। অনেক ভালো আলেম-ওলামারা এই সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় হয়ে যাচ্ছেন। কারণ যার কাছে অর্থ আছে, টাকার বিনিময়ে ক্ষমতা তারাই নিয়ন্ত্রণ করতে চান। এসব বিষয়ে আলাদা মামলা হতে পারে বলেও জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।

এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলম বলেন, ২০১৩ সালের ১৪টি মামলা আমরা তদন্ত করছি। এছাড়াও নতুন বেশ কয়েকটি মামলা আমরা পেয়েছি। অন্য গোয়েন্দা বাহিনীও এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে। খুব দ্রুতই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা হবে হবে।

আরো খবর.......

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবিতে ‘বি’ ইউনিটের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

মামুনুল হকের অ্যাকাউন্টে বছরে ৬ কোটি টাকা লেনদেন

আপডেট টাইম : ০৬:৪৩:৫৫ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ৩১ মে ২০২১

সময়ের কন্ঠ রিপোর্টার।।

হেফাজতে ইসলামের সদ্যবিলুপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বছরে প্রায় ৬ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এছাড়া এতিমদের সহায়তায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সূত্র থেকে আসা কোটি কোটি টাকা নিজেদের বাড়ি গাড়ি কেনা ছাড়াও রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ পূরণে ব্যবহার করছেন মামুনুল হকসহ হেফাজতের শীর্ষ নেতারা।

রবিবার (৩০ মে) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মাহবুব আলম নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সম্প্রতি হেফাজতের বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে অনেকগুলো মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। এর মধ্যে হেফাজতের অর্থনৈতিক বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও নথিপত্র যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।

মামুনুল হকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বছরে প্রায় ছয় কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া, গ্রেফতার হেফাজতের সাবেক কমিটির অর্থ সম্পাদক মনির হোসেন কাশেমীর কাছ থেকে পাওয়া বেশকিছু ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

এই অর্থায়নগুলো বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাধ্যমে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রবাসীরা মাদরাসা কিংবা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কাজে হেফাজতের কাছে দান করে। এর মধ্যে রোহিঙ্গাদের জন্যও তারা দান করে। এছাড়াও হেফাজতের জন্যও কিছু কিছু টাকা বিদেশ থেকে আসে। এই টাকাগুলো বিদেশ থেকে আসার পর হেফাজত নেতারা সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করতেন না। তাদের নিজের ইচ্ছামতো টাকাগুলো নেওয়ার পর খরচ করতেন। তারা এই টাকাগুলো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে, বিশেষ করে হেফাজতের নিজেদের কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করেছে। রোহিঙ্গাদের টাকাও হেফাজত নিজেদের কাজে ব্যবহার করতেন। সহায়তার এসব অর্থ দিয়ে হেফাজত নেতারা নিজেদের বাড়ি-গাড়ি করেছেন।

তদন্তে দেখা যায়, বেফাক কিংবা হায়াতুল ওলিয়ার মতো মাদরাসার গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনগুলো হেফাজতের কাছে জিম্মি হয়ে যাচ্ছে। এ ধরনের অর্থ যাদের হাতে চলে যাচ্ছে কিংবা অর্থের নিয়ন্ত্রক যারা তারাই রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছেন। আবার ক্ষেত্র বিশেষ তারাই এই টাকাগুলোর মালিক হচ্ছেন। অনেক ভালো আলেম-ওলামারা এই সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় হয়ে যাচ্ছেন। কারণ যার কাছে অর্থ আছে, টাকার বিনিময়ে ক্ষমতা তারাই নিয়ন্ত্রণ করতে চান। এসব বিষয়ে আলাদা মামলা হতে পারে বলেও জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।

এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব আলম বলেন, ২০১৩ সালের ১৪টি মামলা আমরা তদন্ত করছি। এছাড়াও নতুন বেশ কয়েকটি মামলা আমরা পেয়েছি। অন্য গোয়েন্দা বাহিনীও এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে। খুব দ্রুতই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা হবে হবে।