হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে ভূয়া দলিল সম্পাদনের অভিযোগ
- আপডেট টাইম : ১১:৪১:২৫ পূর্বাহ্ণ, রবিবার, ৩০ মে ২০২১
- / ২৩২ ৫০০০.০ বার পাঠক
- মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ,জেলা প্রতিনিধি: দিনাজপুর।।
বিরামপুর উপজেলার চৌঘরিয়া গ্রামের মৃত: আছের উদ্দিনের ছেলে আজিম উদ্দিন বিয়ে করে পাশের হাকিমপুর উপজেলার মাধবপাড়া গ্রামে বসবাস করেন।গত ০২-০২-২০২০ ইং তারিখে দাতা আফজাল হোসেন পিতা মৃত: সখিচাঁদ সাং চকভবানি উপজেলা হাকিমপুর, দিনাজপুর আজিম উদ্দিনের স্ত্রী শিল্পী বেগমের নামে উপজেলার পাঁচআনি (নয়ানগর) মৌজার ২০৯ খতিয়ানের আর এস ৪০৫, এস এ ১০৪ দাগের ০৮ শতক এর মধ্য ০৪ শতাংশ জমি কবলা খরিদা মুলে ৪৯৭ নং দলিল সম্পাদন করিয়ে দেন। এর পর স্ত্রী শিল্পী বেগম স্বামী আজিমকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে হেবার দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে হস্তান্তর করেছেন।
২৭ মে ২০২১ আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাকিমপুর, দিনাজপুর এর দপ্তরে হাকিমপুর উপজেলার চকভবানি গ্রামের মৃত: সখিচাঁদের ছেলে আফজল হোসেন ও আফজল হোসেনকে ভূয়া দলিল সম্পাদনে সহযোগিতা করায় উপজেলার সাতকুড়ি গ্রামের কাওছার আলির ছেলে তহিদুল ইসলাম, হাকিমপুর সাব রেজিঃ অফিসের ৫০ নং- সনদের দলিল লেখক লুৎফর রহমান, ৪৫ নং সনদের দলিল লেখক মাসুদ রানা, ৫৯ নং সনদের দলিল লেখক নাসির উদ্দিন, ৪৪ নং সনদের দলিল লেখক আবু বক্কর সিদ্দিক, ৪১ নং সনদের দলিল লেখক মাহাবুব আলম, দলিল লেখক আবুল কাশেম, সাব রেজিঃ অফিস সহকারি আব্দুল মোমিন কে বিবাদী করে “ভূয়া জমির দলিল সম্পাদনের ” অভিযোগে দায়ের করেছেন।
বাদী আজিম উদ্দিন তাঁর লিখিত অভিযোগে ওই জভির উপরে তার বাড়ি রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। কবলা খরিদা মুলে বাদি তাঁর জমিটি নিজ নামে খাজনা ও খারিজ করেছেন বলেও দাবি করেন।
অত্র জমিটি বিক্রয়ের পরে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে বাদীর অজান্তে তাঁর ভোটার আইডি, ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ জাল করে উল্লেখিত বিবাদীগণ যোগসাজসে ১৯৭৯/২০ নং ভূয়া দলিলটি সম্পাদন করেছেন। তিনি ভূয়া দলিল সম্পাদন কারিদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনসহ ভূমিমন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ ইউপি ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য আফছার আলি, মাধবপাড়া গ্রামের খায়রুজ্জামান ঝন্টু, আজিম উদ্দিনের স্ত্রী শিল্পী বেগমসহ আরো বেশ কয়েকজন জানান, ওই জমির বিষয়ে বেশ কয়েকবার গ্রাম্য শালিশ হয়েছে। জমিটি আফজাল হোসেন আজিম উদ্দিনের স্ত্রী শিল্পী বেগমের নিকট বিক্রয় করেছেন বলে তারা জানিয়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে মোবাইলে আফজাল হোসেনের নিকট জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি ওই জমিটি রেজিঃ বায়নানামা মুলে টাকা নিয়েছিলাম। বিক্রি করি নাই। জমিটি আমার বলে তিনি দাবী করেছেন।
সময়ের অনুসন্ধানী চোখ রাখুন